মোংলা দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি শুরু

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০৮, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২, ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯

পদ্মা সেতুর সুফলে ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে কন্টেইনারে আসা পণ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ‘মার্কস নেসনা’ নামের পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ।

 

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিপিং এজেন্টরা বলছেন, মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির বিষয়টি বন্দরের জন্য নতুন এক মাইলফলক।

মোংলা বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর আগে, মোংলা দিয়ে হাতে গোনা কয়েকবার অল্প কিছু গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগে এ পথে ফেরিঘাটের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। ফলে অনেক রপ্তানিকারক মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হতেন না। এখন সময় ও দূরত্ব কমে যাওয়ায় এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রপ্তানি আগের চেয়ে সহজ ও দ্রুত হবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের ২৭টি কারখানায় তৈরি শিশুদের পোশাক, জার্সি, কার্ডিগান, টি-শার্ট, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে জাহাজটি পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কপথে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার কারখানা থেকে এই পণ্যগুলো মোংলায় আসে। বন্দরে পৌঁছানোর পর গতকাল বুধবার বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে অবস্থান করা এমভি মার্কস নেসনা জাহাজে পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো তোলা শুরু হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে জাহাজের এ যাত্রা মোংলা বন্দরের জন্য একটি নতুন মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সড়কপথে ঢাকা থেকে মোংলা বন্দর হয়ে প্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানির পণ্যবোঝাই কনটেইনার নিয়ে বন্দর হয়ে এ জাহাজ যাবে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানি এ ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা তার।

মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের মে পর্যন্ত মোংলা জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে খালাসকৃত পণ্যের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে কনটেইনারে পণ্যবোঝাই হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে প্রায় আমদানি নির্ভর সমুদ্রবন্দরটি দিয়ে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির আশা দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সিঅ্যান্ডএফ ও শিপিং এজেন্ট সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে জাহাজের চাপের কারণে অনেক সময় পণ্য ওঠানো ও নামানোয় সময়ক্ষেপণ হয়। তবে মোংলা বন্দরে সেই চাপ নেই। এই গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির পর আরও অনেকে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানিতে আগ্রহী হবেন।

Share This Article