আইএমএফের কাছে বেল আউট চাওয়া হয়নি: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪৩, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২, ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ‘বেল আউট’–এর কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। তিনি বলেছেন, ‘বেল আউট চাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। আমাদের পাঁচ মাসের অধিক সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা মজুত আছে।’ তবে ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও বাজেট সহায়তা হিসেবে সংস্থাটির কাছে সহজ শর্তের ঋণ চাওয়া হয়েছে।


 

 

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিজ অফিসকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আহমদ কায়কাউস এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেল আউট, এই শব্দ নিয়ে আমার চরম আপত্তি। বেল আউট চাওয়া হয়েছে, এমন খবর কোনো কোনো গণমাধ্যম পরিবেশন করছে। বিষয়টা অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং আত্মসম্মানে লেগেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতে যদি ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি বাড়ে, সে জন্যই মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় আলোচনা সাপেক্ষে সহায়তা চেয়েছে। এটি সহজ শর্তের ঋণ। বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার এ ধরনের ঋণসহায়তা আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনাকালে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও আইএমএফ সবার কাছ থেকে বাজেটসহায়তা নেওয়া হয়েছে। তখন কেউ সমালোচনা করেনি।


আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘করোনার সময় আইএমএফের কাছ থেকে ৭৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যালান্স অব পেমেন্ট সহায়তা নেওয়া হয়েছে, সেটার পরিশোধও শুরু হয়েছে। তাহলে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমরা এ ধরনের ঋণসহায়তা নিলে সেটি তো খারাপ কিছু নয়। অপরাধও নয়। আমরা মাথা উচুঁ করে এই ঋণ চাইতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আইএমএফের কাছ থেকে নিয়মিত চার ধরনের তহবিল সহায়তা পাওয়া যায়। আমাদের সঙ্গে প্রতিবছর সেটি নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও বাজেট সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় সেটি ব্যয় করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘আমাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বাড়ায় এখন প্রকল্পনির্ভর ঋণের পরিবর্তে বাজেটসহায়তা ঋণ পাচ্ছি। এর মানে হচ্ছে, আমাদের পছন্দ মোতাবেক এই টাকা ব্যয় করতে পারব। এটি আমাদের জন্য ভালো।’

ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার আগেই ভাড়া দিতে হবে বলে কেউ কেউ খবর প্রকাশ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি সঠিক নয়। উৎপাদনে যাওয়ার আগে কোনো ভাড়া দেওয়া লাগবে না। প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্র যতক্ষণ পর্যন্ত উৎপাদনে আসবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো ভাড়া দেব না।’

বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া প্রসঙ্গে আহমদ কায়কাউস বলেন, এটি কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী এই ব্যবস্থা আছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানিতে এবং ৩৫ শতাংশ ব্যয় হয় বিনিয়োগজনিত। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ রাখার দরকার।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো দেশের কাছ থেকে কম দামে জ্বালানি তেল কেনার সুযোগ থাকলে বাংলাদেশ সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এ ছাড়া জ্বাালানি তেলনির্ভর অনেকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় না।

Share This Article