এক বছরে বিএনপির অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৪৮, সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩০

২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে দলটি আয়ের থেকে ব্যয়ই বেশি ছিল। তাহলে এই বাড়তি টাকা কোথায় পেল দলটি? দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির এমন অস্বাভাবিক আয় বাড়ার বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গণে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রাজনৈতিক দল পরিচালনায় অর্থের প্রয়োজন। সাংবিধানিক ধারা মেনে দলগুলো প্রতি বছর দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করে। তবে এ বছর অস্বাভাবিকভাবে আয় বেড়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপির। ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনে দলটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের চাঁদা, নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম বিক্রি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অনুদান, ব্যাংক এফডিআর এর অর্জিত সুদ থেকে আসা আয় প্রদর্শন করেছে দলটি।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ২০২১ সালেও দলটির সর্বোচ্চ আয় ছিল ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। গত ৮ বছর ধরে দলটির আয় কোটির নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে দলটির আয় হঠাৎ করেই ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি আয় হয় দলটির। অথচ এই সময়ে কোন নির্বাচনেই অংশ নেয়নি তারা এবং কোনো মনোনয়ন ফরমও বিক্রি করেনি দলটি। এমনকী এর স্পষ্ট কোন হিসেবও দেয়নি দলটি।

এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে দলটি আয়ের থেকে ব্যয়ই বেশি ছিল। তাহলে এই বাড়তি টাকা কোথায় পেল দলটি? দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির এমন অস্বাভাবিক আয় বাড়ার বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গণে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর আয়ের বড় অংশ আসে মনোনয়ন বিক্রি ফরম করে। কিন্তু বিএনপি গত কয়েক বছর কোনও নির্বাচনে অংশ নেয়নি। টানা ৮ বছর ঘাটতি থাকার পর হঠাৎ দলটির আয় বেড়ে গেল কিভাবে। কোথা থেকে এলো এই টাকা।

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, নির্বাচনের আগে আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করতেই বিপুল অংকের টাকা পাঠাচ্ছে কোন বিদেশী মহল। যা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article