তেলের দরপতন আশা দেখাচ্ছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫৭, রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২, ৯ শ্রাবণ ১৪২৯

অপরিশোধিত তেলের দরপতন আশা দেখাচ্ছে সংকটে থাকা বিশ্ববাজারকে। 

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এভাবে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে দেশের বাজারেও তেলের দাম বাড়ানোর দরকার হবে না। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিপিসি জ্বালানির দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সরকার দাম না বাড়িয়ে সাশ্রয়ের নীতি নিয়েছে।

২৩ জুলাই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ব্যারেল ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ৮ মার্চ সর্বোচ্চ ১১৯ ডলার ৬৫ সেন্টে উঠেছিল তেলের দাম।

আন্তর্জাতিক বাজারে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তেলের দাম কিছুটা বাড়ে। এরপর আবার কমতে শুরু করে জুলাইয়ের শুরু থেকেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরব সফর তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া, খাদ্য সরবরাহে জাতিসংঘের উপস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তিও নতুন আশা দেখাচ্ছে।

জ্বালানি বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে, যেহেতু তেল ব্যবহারে সরকার সাশ্রয়ী নীতি নিয়েছে, তাই দাম বাড়ানোর যে আলোচনা হচ্ছিল তা থেমে গেছে। জনগণ সরকারের সংকট সামাল দিতে নেওয়া উদ্যোগে দারুণ সাড়া দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, শুধু রাত ৮টায় দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় দিনে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।

আপাতত ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ রেখেছে সরকার। গত বছর ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৫ ভাগ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে চলেছে। চলতি বছর পিডিবি ১৬ ভাগ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে চালানো হবে বলে জানিয়েছিল। যদিও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ১১ ভাগ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে চলবে বলে উল্লেখ করেছিল। এখন সেগুলো একদমই চালানো হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ১০ ভাগ জ্বালানি ব্যবহার করে। সেই হিসাবে বার্ষিক ডিজেলের চাহিদা ৫০ লাখ টন হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৫ লাখ টন ব্যবহার করে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, জ্বালানি আমদানির বড় সমস্যা— তেল আমাদানি করতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। সম্প্রতি তেল আমদানির এলসির জন্য ডলার দিতে চাচ্ছিল না ব্যাংকগুলো। পরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হয়।

বিপিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা তেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু এরপর আর এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

বিপিসি সরকারের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, তাদের প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় লোকসানের হিসাবেও আসবে পরিবর্তন।

Share This Article


রোজা সামনে রেখে বাড়ছে রেমিট্যান্স

মার্চে রেকর্ড ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় আসতে পারে

ফাইল ছবি

রোজায় নতুন সময়সূচিতে হবে ব্যাংকে লেনদেন

দেশের সক্ষমতা তুলে ধরতেই বিজনেস সামিট: এফবিসিসিআই

ইউরোপে বাংলাদেশী গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়েছে

জ্বালানি, সমুদ্র ও বিমানবন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব

শনিবার ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের বড় চমক

বিশ্ববাজারে চাল-ভোজ্য তেলের দাম কমেছে

বাংলাদেশ-ভারতে লেনদেন টাকা-রুপিতে, উপকৃত হবে উভয় দেশ

ফাইল ছবি

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ১৫৬ কোটি ডলার

ফেব্রুয়া‌রি‌তে দেশে এলো ১৫৬ কো‌টি ডলা‌র রে‌মিট্যান্স