কখনো নিরাশ হবেন না

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০২, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২, ৬ শ্রাবণ ১৪২৯

বিস্তীর্ণ পাহাড়। শেষ বিকালের সূর্য ডুবে যাবে যাবে ভাব, আধখান কুসুম যেন লেগে আছে পাহাড়ের ডগায়। বলতে না বলতেই লাজুক বধূর মতো আড়ালে চলে যায় সূর্য। তার পর দশদিক জুড়ে নেমে আছে অন্ধকার।

সূর্যের যে ক্ষীণ আলো তখনো আকাশ রাঙিয়ে রেখেছিল। ধীরে ধীরে তা-ও মুছে যায়। এখন একদম অন্ধকার। নিশ্ছিদ্র এই অন্ধকার যেন হতাশার চিত্রায়ণ। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্ধকার কেটে উদিত হলো দ্বাদশীর চাঁদ। সারা জগৎ চাঁদের নরম আলোয় পূর্ণ হয়ে গেল, যেন এ আরেক সূর্য!

 

'এ কুদরতের ইশারা', আমি মনে মনে ভাবি, 'যখনই সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়, ঠিক ওই সময়ই অন্যদিক থেকে উদিত হয় নতুন সম্ভাবনা। সূর্য ডোবার পর যেমন সব উজ্জ্বলতা নিয়ে চাঁদের উদয় হয়।'

ঠিক এভাবেই কোনো মানুষ বা কোনো জাতির জন্য কখনোই সম্ভাবনা শেষ হয় না। জমানার সঙ্গে মল্লযুদ্ধে কেউ যদি নিচে পড়েও যায়, হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আল্লাহ তাকে আবার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি দেবেন। কেবল প্রয়োজন ওই লোক বুদ্ধিমানের পরিচয় দেবে ও নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা-সাধনা চালিয়ে যাবে।

দুনিয়াকে আল্লাহতাআলা একমুখী বানাননি। এখানে সবসময় সম্ভাবনা বাকি থাকে, এক মুখে নিরাশ হলে অন্য মুখে যাওয়ার সুযোগ থাকে। মানুষের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে। একবার ব্যর্থ হওয়াই শেষ নয়, সফল হওয়ার সুযোগ এখনো বাকি আছে।

দুই জাতির মধ্যকার দ্বন্দ্বের ফলে এক জাতি সামনে এগিয়ে যায়, আরেক জাতি পেছনে পড়ে যায়, কিন্তু কিসসা এখানেই শেষ নয়। গল্প অন্যদিকে মোড় নেয়। এগিয়ে যাওয়া জাতির মধ্যে ভোগবিলাস ও প্রবৃত্তির পূজা শুরু হয়। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়া জাতির মধ্যে মেহনত ও চেষ্টা-সাধনার জোয়ার ওঠে।

এর মানে আল্লাহর দুনিয়ায় পিছিয়ে পড়ে নিরাশ হওয়া বা পলায়নপর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবস্থা যতই প্রতিকূল হোক না কেন, পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, আবার যুদ্ধজয়ী হওয়ার কোনো না কোনো সুযোগ সবসময় থাকে। মানুষের প্রয়োজন কেবল সেই সুযোগ খুঁজে বের করা এবং তা কাজে লাগানোর কৌশল জানা।
 

Share This Article