দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে রোজা শুরু

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়াসহ সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ গত (২২ মার্চ) বুধবার রাতে সাহরি খেয়ে আজ রোজা শুরু করেছেন। মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

 

এদিকে, মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বুধবার রাতে প্রথম রোজার সাহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।

মির্জাখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবারের দুই জন খলিফা হযরত আতিক উল্লাহ শাহ্ (রহ.) এবং হযরত আবুল হোসেন (রহ.) প্রায় ১২৫ বছর পূর্ব থেকে অত্র এলাকায় পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে সকল মুসলিম ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছেন।

প্রায় আড়াই শ বছর আগে সাতকানিয়া মির্জাখিল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাঁগিরি (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই উত্তরসূরি হযরত মাওলানা আবদুল হাই জাহাঁগীরির অন্যতম প্রধান খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (রহ.) এর মুরিদ ও অনুসারিরা একই নিয়মে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।

মির্জাখীল দরবারে আলিয়া জাহাগাঁরিয়ার মাওলানা আবদুর রহমান জানান, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী বুধবার রাতে আমরা সাহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করেছি। আজ বৃহস্পতিবার হতে আমাদের প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

এ ছাড়াও হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছে তারাও বুধবার রাতে সাহরি খেয়ে আজ রোজা রেখেছেন।

Share This Article