ঢাকার বাইরে বাড়ছে রোগী বৈশ্বিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:১০, শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২, ১ শ্রাবণ ১৪২৯

ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুজন মারা গেছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাস্ক পরাসহ সাবধানতার তাগিদ দিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগী এক হাজার ৫১ জন।

 

শনাক্তের হার ১১.৫৫ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১১.৮৯ শতাংশ। ওই সময়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। শনাক্ত kalerkanthoহয়েছিল এক হাজার ৩২৪ জন রোগী।

ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ২০২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে ৫৯ এবং কক্সবাজারে ৪০ জন। দেশের অন্যান্য বিভাগেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। খুলনা বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ৯৯ জন, রাজশাহীতে ৬৯ জন, বরিশালে ৪৪ জন, রংপুরে ৪১ জন, রাজশাহীতে ৬৯ জন এবং সিলেটে ১৭ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজনের একজন পুরুষ ও একজন নারী। একজন ঢাকা বিভাগের এবং অন্যজন খুলনা বিভাগের অধিবাসী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দেশে গতকাল পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৩। মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২২৫। সর্বশেষ হাসপাতাল ও বাসায় সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৯৫৭ জন। এ নিয়ে ১৯ লাখ ২১ হাজার ১২৩ জন সুস্থ হয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ১৩০টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ১০০টি।

ডাব্লিউএইচওর সাবধান বাণী

এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এর গতি-প্রকৃতি নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত ধরন বা রূপ বদলাচ্ছে এবং চতুর আচরণ করছে।

ডাব্লিউএইচওর কভিড-১৯ বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড নাবারো বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ রুখতে গৃহীত ব্যবস্থার তুলনায় ভাইরাসটির সক্ষমতা এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হচ্ছে, ভাইরাসটি ক্রমেই রূপ বদল করছে। ভাইরাসটির স্বভাব চতুর হয়ে উঠছে।

ডেভিড নাবারো আরো বলেন, ভাইরাসটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে। এটিও সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ার একটি কারণ। সাক্ষাৎকারে নাবারো করোনাভাইরাসকে অবহেলা না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বহু মানুষ এখন আর মাস্ক পরছে না। এ বিষয়টিও সংক্রমণ বাড়ায় ভূমিকা রাখছে। গত মঙ্গলবার সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘করোনাভাইরাস বিনা বাধায় ছড়িয়ে পড়ছে। দেশগুলো কার্যকরভাবে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে না। ’

বিশ্বে গত সপ্তাহে ৫৭ লাখ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের ছয় গুণ। তবে আগের বছরের তুলনায় ভাইরাসটির আক্রমণে মৃত্যুসংখ্যা কম।

বিষয়ঃ কোভিড-১৯

Share This Article