মঙ্গলবার ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৫, শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২, ১ শ্রাবণ ১৪২৯

করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সারা দেশের ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে চায় স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এ তথ্য জানিয়েছে।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার টিকা প্রয়োগবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য এই বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁরা ওই দিন দ্বিতীয় ডোজও নিতে পারবেন। আমরা দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ মিলিয়ে ১৯ জুলাই ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি।’

 

শামসুল হক জানান, করোনার টিকাদানের নিয়মিত কেন্দ্রে ওই দিন টিকা দেওয়া অব্যাহত থাকবে। এসব কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ও প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি পৌরসভার এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র থাকবে।

বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লাখ ২৬ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছে। এঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। অর্থাৎ প্রথম ডোজ নেওয়া ৯৭ লাখ ৯ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি আছে।


অন্যদিকে এ পর্যন্ত তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার মানুষ। প্রথম ডোজ পাওয়া সবাইকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনতে হলে এখনো প্রায় ১০ কোটি ডোজ টিকা দিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গতকাল শুক্রবারের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা পেয়েছে। আর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছে ১৮ শতাংশ মানুষ।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বেশি মানুষকে দ্রুত তিন ডোজ টিকার আওতায় আনতে এই বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে এক দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।

১৩ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পাঁচ সপ্তাহ ধরে বৈশ্বিকভাবে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত আছে। তবে প্রতিটি অঞ্চল বা দেশে সংক্রমণ বাড়ছে না। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ সাপ্তাহিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছিল, দেশে শনাক্তের হার কমছে।

এদিকে গতকাল অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৯ হাজার ১০০ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫১ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এই সময় করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়ঃ কোভিড-১৯

Share This Article