বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি, সন্দেহের তীর বিএনপির দিকে!
![বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি, সন্দেহের তীর বিএনপির দিকে!](/Uploads/Images/News/2023/2/Image-10197-20230225090437.webp)
মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ খান। বাড়ির কাছে পৌঁছাতেই তাকে গুলি করে পালিয়ে যান তিনজন লোক। তাৎক্ষণিক তাদের চেনা না গেলেও তারা বিএনপির বলে দাবি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।
সূত্রমতে, ২৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নরসিংদীর শিবপুর পৌর শহরেরর বাজার সড়কে হারুনের নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ৭০ বছর বয়সী হারুনুর রশিদ খান শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান হারুন। নামাজ শেষে ফেরার সময় বাড়ির গেটে আসতেই তাকে লক্ষ্য করে পেছন থেকে তিনটি গুলি ছোড়েন মোটরসাইকেলে আসা তিনজন লোক। এতে পিঠে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্বজনরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, কয়েক যুগ ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন হারুনুর রশিদ খান। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষমতাশীন দলের এই চেয়ারম্যানের প্রভাব ও জনপ্রিয়তায় হওয়ায় মাঠে সুবিধা করতে পারছে না শিবপুর উপজেলা বিএনপি। তারা একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ কারণে হারুনুর রশিদ খানকে ভালো চোখে দেখতেন না বিএনপির নেতারা। তাই প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন তাদের লোকজন।
এছাড়া আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরির যে পরিকল্পনা নিয়েছে এটি তারই অংশ বলে মনে করছেন অনেকেই। এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলির ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-ইটাখোলা-মনোহরদী আঞ্চলিক মহাসড়কের শিবপুর কলেজ গেট বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। গুলি করার কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।