আওয়ামী লীগের তৃণমূলে কোণঠাসা ত্যাগীরা!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:০৫, শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১৪ মাঘ ১৪২৯

পরবর্তীতে আরও ওপরের পর্যায়ের নেতাদের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে ভূরিভোজ করিয়ে ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করেন। পরে স্থানীয় থানা বা জেলা পর্যায়ের নেতাদের অবগত না করে, তাদের অনুমতি ছাড়াই ওইসব কেন্দ্রীয় বড় বড় নেতাদের অতিথি করে ব্যক্তিগত প্রচারের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেন। স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বড় নেতাদের সম্মানে ওইসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুপ্রবেশকারীদের আত্মপ্রচারকে বৈধতা দিতে বাধ্য হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ১৪ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বিরোধীদলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলেও অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূল আওয়ামী লীগের জন্য শঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, কৌশলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শ্রেণির নেতাদের ম্যানেজ করে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিও বাগিয়ে নিয়েছেন অনেক সুযোগ সন্ধানী ও বর্ণচোরা অনুপ্রবেশকারী। তাদের দাপট আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতায় তারা পরিপুষ্ট। অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে অনেকটা কোণঠাসা ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।

সূত্রমতে, অনুপ্রবেশকারীরা খুবই সূক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করে তৃণমূল পর্যায়ে যেমন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সন্তুষ্ট করে কমিটির গুরুত্বহীন পদ-পদবি ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে খুবই ধীর গতিতে এগোতে থাকেন। ওই নেতাদের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি সংযুক্ত করে ফেস্টুন-ব্যানার লাগিয়ে আত্মপ্রচার শুরু করেন।

পরবর্তীতে আরও ওপরের পর্যায়ের নেতাদের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে ভূরিভোজ করিয়ে ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করেন। পরে স্থানীয় থানা বা জেলা পর্যায়ের নেতাদের অবগত না করে, তাদের অনুমতি ছাড়াই ওইসব কেন্দ্রীয় বড় বড় নেতাদের অতিথি করে ব্যক্তিগত প্রচারের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেন। স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বড় নেতাদের সম্মানে ওইসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুপ্রবেশকারীদের আত্মপ্রচারকে বৈধতা দিতে বাধ্য হন। এমনিভাবে সুযোগসন্ধানী বর্ণচোরা নব্য আওয়ামী লীগাররা সংগঠনে প্রভাবশালী হয়ে উঠছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ বিরোধীরাই পরিকল্পিতভাবে নিয়মিত আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন। নিজ স্বার্থ হাসিল বা সুযোগ সুবিধা পেতে অথবা অনেক সময় পুলিশ প্রশাসনের রোষানল থেকে রক্ষা পেতেই সরকারি দলে তাদের অনুপ্রবেশ ঘটে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনার পরেও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ণ হচ্ছে না বলে জানা গেছে। শুধু তা-ই নয়, অনুপ্রবেশকারীদের রোষানলেও পড়তে হচ্ছে আওয়ামী লীগের এইসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের। তাই দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ বা প্রয়োজনে দল থেকে বহিস্কার করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন জরুরী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Share This Article


সরকার পতন আন্দোলন থেকে সরে কর্মসূচি নিয়ে দ্বিধায় বিএনপি

ভারতীয় পণ্য বর্জন যে কারণে স্থায়ী হবে না!

আগুনে ছুড়ে ফেলা রিজভীর শালটি ভারতের নয়, দেশীয় খাদি শাল

গণতন্ত্রের ডাক শুনেছেনা কেউ : ধীরে ধীরে একা হয়ে পড়ছেন কেন ইউনুস?

ড. ইউনূস ও তার স্ত্রীর নামে আলিশান বাড়িসহ দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদের খোঁজ!

বিনা চিকিৎসায় মারা যান গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম ঋণগ্রহীতা সুফিয়া খাতুন

নোবেল জিতে বাংলাদেশকে কি দিয়েছেন ইউনূস?

ড. ইউনূস নিজেই যখন লবিস্ট!

পর্যাপ্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে না পারায় প্রথম স্ত্রী রুশ তরুণী 'ফরোস্টেনকো’কে ডিভোর্স দেন ইউনূস!

অর্থনীতিবিদ হয়েও শান্তিতে কেন নোবেল পেলেন ড. ইউনুস?

ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে ইউনূসের ভূমিকার প্রমান আছে কি?