বাসায় স্ত্রীকে খুন করে অফিসের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন স্বামী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:০২, মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে গলিত ও বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর ক্লুলেস হত্যা মামলায় প্রায় সাতমাস পর অবশেষে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘাতক শওকত আলীকে (৬৫) গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর শওকত তার স্ত্রী লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে ভাড়া বাসায় হত্যা করেন। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাসার অফিসে এনে সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেন। ওই বাড়িতে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমজিএইচ গ্রুপের নাসিরাবাদ শাখার ক্লিনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন শওকত আলী।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিহত লিপি আকতার ও শওকত আলীর গ্রামের বাড়ি বরিশালে। শওকত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি। ২০১৩ সালে শওকত ও লিপি আকতারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের কয়েক বছর পর পুনরায় তারা নগরীর একটি ভাড়া বাসায় একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর শওকত লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে ভাড়া বাসায় হত্যা করেন।

পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, এটি একটি ক্লুলেস মামলা। গত ৭ এপ্রিল নগরের পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির একটি বাসার সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের সময় ট্যাংকির ভেতরে এক অজ্ঞাত নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৯ মে মামলাটি তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর ঘটনাস্থলের আশপাশের অনেক সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেও কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে এমজিএইচ গ্রুপের অফিসের সব স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে শওকতের কথায় গরমিল পাওয়া যায়। ১৩ জুন সকালে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে।

বিষয়ঃ হত্যা

Share This Article