চাচার হাতে ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের শিশু!
![চাচার হাতে ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের শিশু!](/Uploads/Images/News/2022/7/Image-733-20220703054619.jpeg)
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ৫ টাকা কয়েন হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৭ বছর বয়সী শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চাচার বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর শনিবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত ধর্ষক চাচাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন সালথা থানা পুলিশ। আর শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে।
অভিযুক্ত ধর্ষক চাচার নাম মো. দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিহংপ্রতাপ পশ্চিমপাড়ার মৃত জুলফিকার আলী মিয়ার ছেলে।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় অভিযুক্ত ধর্ষক চাচা দেলোয়ার শিশুটির হাতে ৫ টাকার কয়েন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির পাঁশের একটি গরুর ফার্মে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। গত কয়েকদিন এভাবে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে শিশুটি নিজে সাংবাদিকদের কাছে বলেন। এক পর্যায় বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে অভিযুক্ত দেলোয়ারকে ধরে মারধর করে ছেড়ে দেন।
পরে স্থানীয় মাতুব্বর ঘটনাটি মিমাংসা করে দিতে চাইলে তাতে প্রথমে রাজি না হওয়ায় শিশুটির মায়ের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধরে ধর্ষকের সমর্থকরা। একপর্যায় ভয়ে মিমাংসার বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হন শিশুটির পরিবার।
খবরটি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানতে পেয়ে পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর বক্তব্য শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে নিয়ে আসেন।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়াকে (৫০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ওই ব্যক্তি শিশুটির চাচা হন।
ওসি জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের পর পুলিশী হেফাজতে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।