যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কিনছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৭, শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২, ১৮ আষাঢ় ১৪২৯

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে চার মাসের বেশি সময়। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে দুর্বল করতে নিষেধাজ্ঞার জাল পেতেছে পশ্চিমা বিশ্ব। দেশটি থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি বন্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় বড় দেশগুলো। এর মধ্যে অনেক দেশ আছে যারা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে।

এ দিকে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা। নিজদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে তারা দাবি করছে, বর্তমানে রাশিয়ায় জ্বালানির বিক্রি বেড়েছে।

অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে রাশিয়া বিশ্বে তৃতীয়। যুদ্ধের আগেও এই অবস্থানে ছিল দেশটি। বেসরকারি অর্থনৈতিক নজরদারি সংস্থা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট ডট কমের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে তেল রপ্তানি করেই রাশিয়া সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। তাদের অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির রপ্তানিও বেড়েছে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে গড়ে প্রতি দিন প্রায় ৯৮ কোটি ডলারের জ্বালানি অন্য দেশে রপ্তানি করেছে রাশিয়া। শুধু মাত্র প্রথম ১০০ দিনে ৯ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারের জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি করেছে দেশটি।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কারা রাশিয়ার জ্বালানি কিনছে? কারণ রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করার অর্থ হলো পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করা।

সমীক্ষা বলছে, এই তালিকায় সবার আগে রয়েছে চীন, তারপরই জার্মানি এবং ভারত। রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশও।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো বরাবরই তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্য মূলত রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে। দেশগুলোর প্রয়োজনের ৪১ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকেই।

ইউক্রেন হামলার পর যে দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পাইপলাইন গ্যাস রাশিয়া রপ্তানি করেছে, তার ৮৫ শতাংশ গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে। আক্রমণ শুরু প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি ৬১ শতাংশও হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশেই।

এই আমদানিকারকের তালিকায় রয়েছে জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো বহু নেটোভুক্ত দেশের নাম। তবে এই দেশগুলোকে আমদানিতে টেক্কা দিয়েছে চীন।

গত মে মাসে রাশিয়া থেকে গড়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে চীন। যা আগের বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া থেকে আমদানি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে ভারত। যুদ্ধের ১০০ দিনে রাশিয়ার মোট রপ্তানি করা তেলের ১৮ শতাংশই পাঠানো হয়েছে ভারতে।

সূত্র: আলজাজিরা

বিষয়ঃ রাশিয়া

Share This Article


ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করছে পাকিস্তান সরকার

দেশে দেশে কোটা ব্যবস্থা

আমি মারাও যেতে পারতাম: ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ১৪১ ফিলিস্তিনি

প্রাণে বেঁচে ঈশ্বরের কাছে ট্রাম্পের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর ৩০২ বন্দুক হামলার ঘটনা

গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: মাহমুদ আব্বাস

ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: এফবিআই

পশ্চিমের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইংরেজির বিস্তার উত্তর কোরিয়ায়

হামলার ঘটনায় বাইডেনকেই দায়ী করছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা

আমেরিকায় এমন সহিংসতার স্থান নেই, এটা ক্ষমা করা যায় না: বাইডেন

ডান কানে গুলিবিদ্ধ ট্রাম্প