বঙ্গবন্ধু দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৫০, বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২, ১৫ আষাঢ় ১৪২৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা এবং জাতির পিতার দৌহিত্রী ও বাংলাদেশে অটিজম আন্দোলনের পথিকৃৎ সায়মা ওয়াজেদের জনসাধারণের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা ও মমত্ববোধের এক অনুপম দৃষ্টান্ত মিলেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ফেসবুকে নিজের ফেরিফাইড পেইজে ‘মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু দৌহিত্রী’র অনুভব-মমত্ববোধ’ শিরোনামে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে।

সায়মা ওয়াজেদ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সেতুর ওপরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানকালে নিজের ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন। তিনি এ সময় বিটিভির কর্তব্যরত দুজন ক্যামেরা পারসনের ছবিও তোলেন। পরবর্তীতে ঐ ক্যামেরাম্যান দ্বয়ের ছবি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে তাঁকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। এর মাধ্যমে সাধারণের প্রতি তাঁর মমত্ববোধের এক অনুপম দৃষ্টান্ত ফুটে উঠে উঠেছে।

সায়মা ওয়াজেদ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সেতুর ওপরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানকালে নিজের ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন।সায়মা ওয়াজেদ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সেতুর ওপরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানকালে নিজের ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন।

স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো- ‘মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু দৌহিত্রী’র অনুভব-মমত্ববোধ’

‘গত ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশে বক্তব্য, টোলপ্লাজায় টোল দেওয়া এবং উদ্বোধন ফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর গাড়িবহর নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেন। পরবর্তীতে সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্থানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট উপভোগের জন্য শেখ হাসিনা অল্প সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি করেন। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একটি ক্যামেরায় বিভিন্ন ছবি তুলতে থাকেন।

পদ্মা সেতুতে দায়িত্বপালনরত বিটিভির দু’জন ক্যামেরাপারসনের একটি ছবি পাঠিয়ে গত পরশু সন্ধ্যায় আমার হোয়াটসঅ্যাপে প্রধানমন্ত্রীর এডিসি টেক্সট করেন যে, ছবিটি আমি যেন ঐ দুই ক্যামেরাম্যানকে পৌঁছে দেই। বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য এডিসিকে ফোন দিলে উনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল তাঁর নিজ ক্যামেরায় ওই ছবিটি তুলেছেন এবং তাঁর কাছে যেহেতু ঐ ক্যামেরাপারসনদের কন্টাক্ট নম্বর নেই, তাই তিনি এটা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন।

কিছুক্ষণ আমি স্থবির হয়ে পড়ি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দোহিত্রীর মানুষের প্রতি প্রগাঢ় অনুভব আমাকে অভিভূত করে! ঐতিহাসিক ঐ মুহূর্তে অচেনা-অজানা বিটিভির দু’জন ক্যামেরাম্যানের ছবি তিনি না-ই তুলতে পারতেন; আর তুলেই যখন ফেলেছেন, পরবর্তীতে অপ্রয়োজনীয় ছবি হিসেবে তিনি এটি ডিলিট করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি! এটিই জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের গণমানুষের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা ও মমত্ববোধ।

Share This Article