পদ্মা সেতু: পাল্টে দিয়েছে রাজনীতির যত হিসেব-নিকেশ!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০২, রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২, ১২ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি অনেক চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। অবশেষে ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধন করে সকল রাজনৈতিক চাপ এবং অস্বস্তি উপড়ে ফেললো সরকার। যদিও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময়টা যেন উৎসবমুখর না হয়, সেজন্য নানারকম সমালোচনা উঠেছিল।

 

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যেই ছিলো সরকার। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা ইস্যুতে অব্যাহত চাপ, বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের হুমকি, সীতাকুণ্ডের অগ্নিকান্ড, ঢাকা-সিলেট রুটের ট্রেনে আগুন সবকিছু মিলিয়ে একটা অস্বস্তিকর।পরিবেশ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে মনে।করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রকম অস্বস্তির মধ্যে থাকা  সরকার এক পদ্মা সেতু দিয়েই দেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর সমর্থন এবং সহমর্মিতা আদায় করে নিয়েছে। সে কারণেই পদ্মা সেতু রাজনীতির মাঠেও সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে।

এই সেতু উদ্বোধনের ফলে বিরোধী দলগুলো হঠাৎ করেই আন্দোলনে যেতে পারবে না, জনসাধারণের ঐক্য ও সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিনন্দন প্রকাশের কারণে আর কোনো কূটকৌশল বা সরকারকে চাপে ফেলা সহজ হবেনা।

এদিকে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছে বিরোধী শিবির। মাঠের সবচাইতে বড় বিরোধীদল বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীও গোপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন। বাম জোটগুলো বলছে, পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ করেছেন এবং এই প্রতিবাদে তিনি শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন।

এছাড়া ইসলামী দলগুলোও পদ্মা সেতুকে একটি অর্থনৈতিক অর্জন হিসেবে দেখছে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতা ও কর্মীরা বলছে, এই সেতুর ফলে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সফলতা পাবে বাংলাদেশ। অর্থাৎ পদ্মা সেতু যে বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন এ ব্যাপারে একটি রাজনৈতিক ঐক্যও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সবকিছুর উর্দ্ধে।

Share This Article