পদ্মাসেতুর পাথর দিয়ে আরেকটি কেওক্রাডং বানানো সম্ভব ছিল

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৯:২৫, শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২, ১০ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

খরস্রোতা পদ্মা যে শুধু একমুখী হয়ে বয়ে চলে তা নয়। মৌসুমে মৌসুমে এই নদীর চরিত্র পাল্টায়। এক ঋতুতে শান্ত পদ্মাই আরেক ঋতুতে হয়ে ওঠে প্রমত্ত। পাল্টে যায় নদীর আকার আয়তন থেকে শুরু করে পানি প্রবাহের চরিত্রও। পদ্মার এই দোদুল্যমান চরিত্রকে মাথায় রেখেই পদ্মাসেতুর ভিত তৈরি করা হয়েছে বিশেষভাবে। সবশেষে বাংলাদেশ সফল। অসংখ্য অর্জন ঝুলিতে রেখে সেই বিস্ময় আজ স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে।

পদ্মাসেতু নিজেই এক বিস্ময়। এর নেপথ্যে সেতুর নির্মাণ শৈলী আর ঝুঁকি! পুরো সেতু নির্মাণে সময় লেগেছে মোট ২ হাজার ৭৬৮ দিন। এই সেতু নির্মাণে দেশি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও, সর্বমোট ৬০টি দেশের উপকরণ ব্যবহার করতে হয়েছে। শুধু পাথরের কথাই বলা যাক, প্রায় সোয়া ১০ লাখ ঘনমিটার পাথর নদীতে পাথর ফেলা হয়েছে! এই পরিমাণ পাথরকে ১৩ হাজার বর্গফুট জুড়ে স্তূপ করে রাখলে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কেওক্রাডংয়ের থেকেও উঁচু দেখাবে।



 

পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ড. আইনুন নিশাত বলেন, পদ্মার তলদেশে এবং দু’পাশে নরম মাটি ও বালি। একারণে কাজটা ছিল বেশ কঠিন ও জটিল। নরম হওয়ার কারণে নদীর তল অনেক গভীরে চলে যেতে পারে অথবা দুই পাশ ভাঙতে পারে। শীতের সময় পদ্মা নদীতে গভীরতা থাকে ১০০ ফুটের কাছাকাছি। বর্ষার সময় এই গভীরতা দ্বিগুণ হয়ে যায়। একারণে চ্যালেঞ্জ ছিল নদীর ঐ গভীরতায় সেতুর যেসব পাইল বসানো হবে সেগুলোর ফাউন্ডেশন তৈরি করা।

বাংলাদেশের নদীতে পাথর নেই। ফলে সেতুর পুরো ভার রাখতে হয় মাটিতে। একারণে নদীতে অনেক ভারি পাথর, কংক্রিটের ব্যাগ এবং জিওব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। হিসাব বলছে, পদ্মাসেতুর নদীশাসনে প্রায় ২ কোটি ১৭ লাখ জিও ব্যাগ ব্যবহার হয়েছে। যেসব পাথর ব্যবহার করা হয়েছে তার এক একটির ওজন ৮০০ কেজি থেকে এক টন।

আইনুন নিশাত বলেন, নদীর তলায় ৮০০ কেজির জিওব্যাগে তুলনামূলকভাবে মোটা বালি ভরে বটম লেয়ার বা স্তর তৈরি করা হয়েছে। এসব পাথর একসঙ্গে মিক্স করা হয়েছে যেন ইন্টারলকিং হয়। সেগুলোকে নদীর তলদেশে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। নদীর তলদেশে যতটুকু যাওয়া সম্ভব, অর্থাৎ ড্রেজিং-এর ক্ষমতা যতটুকু ছিল ততটা গভীরে।

পদ্মাসেতুতে পাইল আছে ২৬৪টি। একেকটি পিলারের নীচে আবার ছয় থেকে সাতটি করে পাইল বসানো হয়েছে। এই পাইল নদীর তলদেশের মাটি থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৪১২ ফুট গভীরে বসানো হয়েছে। বিশ্বে আর কোনো সেতুতে এতো গভীরে পাইল বসানোর দরকার হয়নি।

এসব পাইলের ওপরই নির্মাণ করা হয় পিলার। এর ওপর বসানো হয় ইস্পাতের স্প্যান। পদ্মাসেতুতে স্প্যানের ওপর কংক্রিটের স্ল্যাব জোড়া লাগিয়ে তৈরি হয়েছে যান চলাচলের পথ।

বিষয়ঃ উন্নয়ন

Share This Article

যেকারণে ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ সমর্থন দিলেন খোকন সেরনিয়াবাতকে

ধর্মকে পুঁজি করে নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন অনেকে: খোকন সেরনিয়াবাত

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জড়িত ৯০ শতাংশ ব্যক্তিরই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার প্ৰয়োজন নেই!

ভিন্ন দেশ ও জাতি-গোষ্ঠীর মাঝে আলোড়ন তুলেছে ৭ই মার্চের ভাষণ!

২০০০ টাকার কর বিভ্রান্তি: না বুঝেই প্রতিক্রিয়ায় সয়লাব ফেসবুক!

ফয়জুল করিমকে নয়, খোকন সেরনিয়াবাতকে সমর্থন দিলেন ছারছিনা পীর !

বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী

করফাঁকি: কূটকৌশল খাটিয়েও নিস্তার পেলেন না ড. ইউনূস

মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন চরমোনাই পীর!

মুরিদদের ভয় দেখিয়ে স্ত্রীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়েছেন চরমোনাই পীর!


প্রস্তাবিত বাজেট গ্রামীণবান্ধব: পরিকল্পনামন্ত্রী

সরকারের বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার উদ্যোগ দৃশ্যমান: এলজিআরডিমন্ত্রী

চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

কর্মমুখী স্মার্ট নগরী গড়তে লিটনের ১০৫ দফা ঘোষণা

মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর: কাদের

২০০০ টাকার কর বিভ্রান্তি: না বুঝেই প্রতিক্রিয়ায় সয়লাব ফেসবুক!

৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদফতর

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় সম্ভব: অর্থমন্ত্রী