‘পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করা ছিল বিশ্বব্যাংকের চরম ভুল’

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০৭, শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২, ১০ আষাঢ় ১৪২৯

সৈয়দ আবুল হোসেন। বাংলাদেশের আলোচিত রাজনীতিক। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৯ সালে পরপর চারটি নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।

২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনলে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। পরে আর রাজনৈতিকপাড়ায় তার দেখা মেলেনি। এখনো তাকে সেভাবে পাওয়া যায় না। যদিও ২০১৪ সালে বাংলাদেশি আদালত এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে খালাস দিয়েছিলেন। পরে কানাডিয়ান আদালতও তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আবুল হোসেন খোলামেলা কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন জসিম।

জাগোনিউজ: বাঙালির দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুরু থেকেই আপনি যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই সেতুটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২৫ জুন। এ নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?

আবুল হোসেন: বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি খুশির সংবাদ। আমার জন্যও। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল। এটি এখন পূরণ হয়েছে। এই স্বপ্নটি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জাগ্রত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই আবার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব বাধা মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।

পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্ষমতা, আন্তরিকতা, জন-অঙ্গীকার এবং সততার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার ভালো লাগছে এই ভেবে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ষড়যন্ত্রকারীদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছেন, সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছেন।


জাগো নিউজ: ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সে সময় আপনাকে যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই মূলত শুরু হয় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। প্রথম দিকে কাজটা কীভাবে এগিয়ে নিয়েছিলেন?

আবুল হোসেন: পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তাই, যোগাযোগমন্ত্রী হওয়ার প্রথমদিন থেকেই আমি পদ্মা সেতু নির্মাণে মনোযোগ দেই। পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর প্রাকযোগ্য দরপত্র আহ্বান করি। সেতুর অর্থায়ন সংস্থা- বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেই। স্বল্পসময়ে ভূমি অধিগ্রহণ করি। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যাবতীয় কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসি। এমনকী প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়াও শেষ করি। যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রস্তুতি কাজ করতে ১০ বছর লেগেছে, সেখানে মাত্র দু’বছরে আমরা পদ্মা সেতুর প্রস্তুতির কাজ শেষ করেছি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ হবে, এটাই ছিল আমার মূল টার্গেট। এজন্য দ্রুততার সঙ্গে আমি কাজ এগিয়ে নিতে সচেষ্ট ছিলাম। সে পর্যায়ে পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবির কাছে পদ্মা সেতুর পুনর্বাসন প্রকল্প ও কাজের অগ্রগতি প্রশংসিত হয়। কাজের দ্রুত অগ্রগতি, গুণগত মান এবং স্বচ্ছতা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়।

জাগোনিউজ: পদ্মা সেতু নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পরবর্তীসময়ে সেটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু আপনি নানা দিক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

আবুল হোসেন: আপনারা জানেন, দুই বছরে আমি পদ্মা সেতুর প্রস্তুতিকাজ শেষ করে এনেছিলাম। এতে সব মহল সন্তুষ্ট ছিল। শুধু মূল সেতুর প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচনে বিশ্বব্যাংকের একটি তদবির অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি কার্যকর করতে অপারগতা প্রকাশ করে। তারপরই বিশ্বব্যাংকের ধীরগতি পরিলক্ষিত হয় এবং আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপিত হয়। সে অভিযোগটি ছিল উদ্দেশ্যমূলক ও সম্পূর্ণ অসত্য। উদ্দেশ্য ছিল পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন সময় দীর্ঘায়িত করা এবং স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। সরকারের জন-অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করা এবং সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

জাগো নিউজ: আপনি সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগোচ্ছিলেন। আপনার অনুপস্থিতিতে সেটি চলমান ছিল। পদ্মা সেতুর নির্মাণে আপনার সার্বিক মূল্যায়ন কী?

আবুল হোসেন: আমি যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলাম তাতে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু চালু হতো। এখন ৯ বছর পর পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে- প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পরও অহেতুক মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ নিয়ে অনেক সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল সেতুর দরদাতা নির্বাচনে আমার রেখে আসা প্রাক-যোগ্য একজন বিডারকে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর ঠিকাদার, আমার রেখে যাওয়া প্রি-কোয়ালিফায়েড বিডারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন করা হলো। কিন্তু সুপারভিশন কনসালট্যান্ট নিয়োগে নতুনভাবে প্রি-কোয়ালিফিকেশন আহ্বান করা হলো। অথচ এসএনসি-লাভালিনকে বাদ দিয়ে অন্যদের মধ্য থেকে সুপারভিশন কনসালট্যান্ট নির্বাচন করা সমীচীন ছিল। কারণ, এর জন্যও সময়ক্ষেপণ করেছে। নতুনভাবে প্রি-কোয়ালিফিকেশন দরপত্র আহ্বানের ফলে কোরিয়ার মতো তুলনামূলকভাবে অনভিজ্ঞ সুপারভিশন কনসালট্যান্ট নিয়োগ পেলো। যদি নতুন প্রি-কোয়ালিফায়েড টেন্ডার আহ্বান না করে আগের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন প্রি-কোয়ালিফায়েড বিডার মনসেল-এইকম (Maunsell -AECOM) নির্বাচিত হতো, তাহলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এক্ষেত্রে ঠিকাদার নিয়োগে এক নীতি এবং সুপারভিশন কনসালট্যান্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সময়ক্ষেপণ ও নির্মাণ ব্যয় দুটোই বেড়ে গেছে। যখন নির্মাণ পর্যায়ে দেখা গেলো নদীর তলদেশে শক্ত মাটি নেই- আছে তরল কাদা যা পাইলিংয়ের উপযুক্ত নয় তখন বর্তমান ঠিকাদার, যারা নির্মাণকাজে অভিজ্ঞ, তারা কেমিক্যাল ব্যবহার করে মাটি শক্ত করে পাইলিং করার পরামর্শ দেয়। তাদের এ পরামর্শ আমার আগের পরামর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু অনভিজ্ঞ কনসালট্যান্ট সে পথে না গিয়ে গবেষণার নামে দুই বছর সময়ক্ষেপণ করলো। ঠিকাদারের সেই পরামর্শ অনুযায়ীই বর্তমানে স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতিতে কেমিক্যাল ব্যবহারের পথ বেছে নিলো। ফলে সেতু নির্মাণে আরও দু’বছর সময়ক্ষেপণ হলো। ব্যয়ও বেড়ে গেল অনেক।

নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি- এটা গর্বের। তবে আমাদের যে এত অর্থ নেই- তাও ঠিক। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমাদের অনেক বিনিয়োগ রি-শিডিউল করতে হয়েছে। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমার পরিকল্পনা ছিল ডিজাইন বিল্ট ফাইন্যানসিং-এ পদ্মা সেতু নির্মাণ করার। এ সম্পর্কিত সার-সংক্ষেপ প্রধানন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করি। তিনি অনুমোদন দেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেন। সে সময় পদ্মা সেতু ডিজাইন বিল্ট ফাইন্যানসিং করা সম্ভব হলে সরকারি অর্থের উপর চাপ পড়তো না। ডিজাইন বিল্ট ফাইন্যানসিং- এ গেলে খরচ কম হতো। কারণ, এক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব অর্থ বিনিয়োগ করতে হতো না। আমরা Bidders Financing বা PPP-তে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পারতাম।

জাগো নিউজ: বিশ্বব্যাংক প্রথমে সরে গেলো, পরে আবার আসতে চাইলো। কেন?

আবুল হোসেন: আওয়ামী লীগের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে যাতে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন না হয়- এটাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট। যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে তারা আমাকে টার্গেট করেছিল। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী যদি পরপর তিনবার নির্বাচিত না হতেন তাহলে এ পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হতো না।

পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করা ছিল বিশ্বব্যাংকের একটি চরম ভুল সিদ্ধান্ত। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর মতো একটি বড়ো প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ হারালো। বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় আলোচনা না করে এবং বোর্ড সভার অনুমোদন না নিয়েই, নিজ উদ্যোগে কারও অন্যায্য নির্দেশে প্রভাবিত হয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন স্থগিত করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অর্থায়ন স্থগিতের বিষয় সমর্থন করেননি। বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিকের সাথে চায়নায় বোয়াও ফোরামে এক অনুষ্ঠানে আমার সাক্ষাৎ ও পরিচয় হয়। তখন তিনি পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বাতিল করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তখন আমি নিশ্চিত হই যে, তিনি কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন অনৈতিক কাজ করেছেন। রবার্ট জোয়েলিকের মতো বিশ্বব্যাংকের হাতে গোনা কিছু কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু অর্থায়ন না করার দায় বিশ্বব্যাংককে নিতে হলো। আমি মনে করি, বিশ্বব্যাংক সৃষ্টির পর থেকে আরো ১০০ বছরেও পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ বিশ্বব্যাংক পাবে না।

বিশ্বব্যাংকের সেই রবার্ট জোয়েলিক এখন কোথায়? মিস গোল্ড স্টেইন এখন কোথায়? সেই লুইস ওকাম্পো কোথায়? ওকাম্পো দুর্নীতিবাজ হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন। এ খবর দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অথচ ওকাম্পো বাংলাদেশে এসে সততার নাটক করেছেন। মূলত বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান লুইস মোরেনো ওকাম্পোর নেতিবাচক রিপোর্টে বাংলাদেশের স্বপ্ন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যায়। অথচ ওকাম্পো আজ বিশ্বের বড় দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত। ওকাম্পোর দুর্নীতির চল্লিশ হাজার নথি এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ওকাম্পোর নেতিবাচক রিপোর্ট পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশকে এবং আমাকে বিতর্কিত ও সমালোচিত করেছে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে আমার সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই দুর্নীতিবাজ ওকাম্পোর পরামর্শেই বিশ্বব্যাংক গ্লোবাল সার্চ করে আমার সম্পর্কে কোনো অনিয়ম পায়নি। বিশ্বব্যাংক আজ পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করতে না পেরে বিশ্বব্যাপী লজ্জিত। আমার কাছে অনুতপ্ত। সেই ওকাম্পো আজ বিশ্বব্যাপী নিন্দিত ও বিতর্কিত। তার সঙ্গে বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বৈঠক করে তার অপচেষ্টার সঙ্গী হয়েছিলেন। দুদকের তৎকালীন একজন কমিশনার মিডিয়ায় একাধিকবার একথা প্রকাশ করেছেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। আজ সত্য প্রকাশিত হয়েছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি।

জাগো নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে বলেছিলেন, ‘সৈয়দ আবুল হোসেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক’। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেছেন?

আবুল হোসেন: ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত করার উদ্দেশ্য মনেপ্রাণে ধারণ করে দুই বছরের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতিকাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পিত ও অসত্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বার্থে, পদ্মা সেতুর স্বার্থে ও বিশ্বব্যাংকের অর্থপ্রাপ্তির প্রত্যাশায় মন্ত্রিসভা থেকে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই পদত্যাগ করি। এরপরও বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নে ফিরে আসেনি। কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেছিলেন। তাই এসময় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘সৈয়দ আবুল হোসেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি দেশের স্বার্থেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংক ঋণ দিক আর না দিক- সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে নেবে।’ আমার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন উঁচুমানের ইতিবাচক ধারণার প্রকাশ্য স্বীকৃতি আমার জীবনে পাওয়া সেরা উপহার ও সেরা প্রাপ্তি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি চিরঋণী। কথাটি মনে পড়লে আমি তার মহানুভব স্বীকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা-আপ্লুত অনুভাবনায় মিথ্যা অপবাদের সব কষ্ট ভুলে যাই।

জাগো নিউজ: ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আবুল হোসেন: আপনাদেরও ধন্যবাদ।

 

সূত্র : জাগোনিউজ২৪।

Share This Article


বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

দুপুরের মধ্যে সিলেট বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

থাইল্যান্ডের রাজা-রানির রাজকীয় অতিথি শেখ হাসিনা

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান

ওমরাহ পালনে সৌদির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন পাটমন্ত্রী

‘বাংলাদেশ অনেক পণ্যে এখন স্বাবলম্বী’

বিশ্বব্যাপী সব যুদ্ধ বন্ধের উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে

ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি

মধুখালীর ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

চলবে তাপপ্রবাহ, আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট