নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি মানেই দুর্নীতি!
বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। এর দৃষ্টান্ত পদ্মা সেতু। তবে এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে দুর্নীতির নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে নির্মাণ ব্যয় কয়েক দফায় বৃদ্ধির কারণে এই গুঞ্জনটিও বাড়ে।
আমেরিকার হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের ওয়াহু দ্বীপে ১৬ মাইল দীর্ঘ হাইওয়েটি পার্ল হার্বোর নেভাল বেস ও হাওয়াইয়ের মেরিন কর্পস বেস দুটিকে সংযুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ২ মাইল দীর্ঘ টানেল।
ইন্টারস্টেট এইছ-৩ বা হাওয়াইন হাইওয়ের নামের অবকাঠামোটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০-৭০ মিলিয়ন ডলার। তারপর প্রকল্পটি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।
এই প্রকল্পটি ১৯৭২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় লেগেছে অতিরিক্ত আরো ২৫ বছর। ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১.৩ বিলিয়ন ডলারে, যা প্রাক্কলিত খরচের প্রায় ১৭ গুণ বেশি।
ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও একদিকে নকশা ও অবকাঠামোগত পরিবর্তন এবং অন্যদিকে নির্মাণগত জটিলতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং বৈদেশিক চাপের কারণে সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও সময় দুটোই বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া বিশ্ববাজারে সেতু নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি এবং নির্মাণকালীন নতুন নতুন টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাসহ আরও বহুবিধ কারণে সেতুর নির্মাণ খরচ বেড়েছে।
কাজেই প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি মানেই যে দুর্নীতি নয় তার বাস্তব উদাহরণ ‘ইন্টারস্টেট এইছ-৩’ বা হাওয়াইন হাইওয়ে প্রকল্প ও বাংলাদেশের পদ্মাসেতু।