ম্যারাডোনার সঙ্গে দি মারিয়াকে তুলনা করলেন তিনি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২২, বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ৮ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

স্পোর্টস ডেস্ক

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করলেই উচ্চারিত হয় লিওনেল মেসির নাম।

বর্তমান প্রজন্মের অনেকে তো ম্যারাডোনার চেয়ে বড় করে দেখেন মেসি। তবে বেশিরভাগেই এ নিয়ে বিতর্কে জড়ান। কারণ মেসির হাতে এখনো উঠেনি বিশ্বকাপ। সে অর্থে মেসি যে এখনো দিয়েগোর মতো কিংবদন্তি হতে পারেননি।

 

এমন সব তর্ক-বিতর্কের মধ্যে মেসি ছাড়া আসেনি আর কোনো নাম।

কিন্তু এবার ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনায় চলে এলো মেসির দেশেরই আরেক তারকা ফুটবলার আনহোল দি মারিয়ার নাম।

দি মারিয়া অবশ্য অনেকটা দুর্ভাগা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ভূয়সী প্রশংসা পাননি তেমন একটা।

দারুণ সব প্রতিভা দেখালেও তার মধ্যে কেউ ম্যারাডোনার ছায়া খুঁজেননি।

আর ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেলে এসেই শুনলেন সেই বাক্যটি।

৩৪ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের সঙ্গে ম্যারাডোনার তুলনা করলেন ইতালির কিংবদন্তি গোলকিপার জিয়ানলুইজি বুফন।

পিএসজির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আগ্রহী ছিলেন দি মারিয়া। কিন্তু  ক্লাবের আগ্রহ না থাকায় নতুন ক্লাবের সন্ধানে নামতেই হচ্ছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে।

আলবিসেলেস্তে তারকাকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটা ক্লাব। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে জুভেন্টাস ও বার্সেলোনা।

সিরি 'আ'র জায়ান্ট দলটি তাকে দলে নিতে দিয়েছে লোভনীয় প্রস্তাব।

ইতালির দ্বিতীয় বিভাগের দল পার্মায় খেলা বুফনও জুভেন্টাসে দেখতে চান দি মারিয়াকে।

সেই প্রত্যাশা থেকেই আর্জেন্টাইন তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ৪৪ বছর বয়সি বুফন।


ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম ল্য গেজেট ডেল স্পোর্তের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বুফন বলেন, ‘ইতালিয়ান লিগে ডি মারিয়া হবে ম্যারাডোনার মতো। আমি কি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে? এখন টেকনিক্যাল দিক থেকে সিরিআ অনেক এগিয়েছে এবং দি মারিয়ার খেলার মানও অনেক ভালো।’

ডি মারিয়ার প্রশংসা বুফন আরও বলেন, ‘সে কি নিখুঁতভাবে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিতে পারে! সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ফল বদলে দিতে পারে। চমৎকার সব অ্যাসিস্ট করে এবং সাড়া মাঠ দৌড়ে খেলে। একাই সে অনেক ভূমিকা পালন করতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে দি মারিয়া একজন উঁচুমাপের খেলোয়াড়।’

দি মারিয়ার বয়স নিয়ে ভাবনার কথাও বলেন বুফন।

জুভেন্টাসের সাবেক তারকা বলেন,  ওর বয়স ৩৪ হওয়ায় দুর্ভাবনা? আমার বয়স ৪৪ এবং আমি এখনও খেলছি। এখানে বয়স কোনো বিষয় নয়। নিজের কাজের প্রতি কতটা নিবেদন থাকে, কতটা পরিশ্রম থাকে সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। ডি মারিয়া যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে জুভেন্টাসে যাওয়ার, সে প্রস্তুত হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিষয়ঃ ফিফা

Share This Article