অন্যের আর্থিক অস্বচ্ছতায় সরব : নিজের কর ফাঁকির মামলায় কোর্টে ড. কামাল

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৪১, রবিবার, ১২ জুন, ২০২২, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

বিশিষ্ট আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে কর আপিল ট্রাইব্যুনালে চলছে কর ফাঁকির মামলা। বার্ষিক আয়কর রিটার্নে তথ্য গোপন করে রির্টান দাখিলে চলছে এই মামলা। আজ রোববার রিট আবেদনের শুনানির জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে।

২০১৮-১৯ কর বছরের আয়কর রির্টানের বিষয়ে জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি দিয়ে ছিল দূর্নীতি দমন কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়, কর অঞ্চল ৮ এর রির্টানদাতা ড. কামাল হোসেন বিভিন্ন কর বর্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মতিঝিল শাখায় দুটি, সিটি সেন্টারে দুটি, যার একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এক্যাউন্ট ও আইএফআইসি ব্যাংকে, আরেকটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় মোট ৫টি এক্যাউন্টে জমা টাকার উপর কর পরিশোধ করেছেন । তবে তার নামে আরেকটি ব্যাংক এক্যাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়, যেটিতে জমা টাকার উপর কোন কর পরিশোধ করেননি। এই এক্যাউন্টের কোন তথ্যও এনবিআরে দেননি।

সম্পদের তথ্য গোপন করে কর না দেয়ায় দুর্নীনি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর উপ-কর কমিশনার এক আদেশে ড. কামালের কাছে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪হাজার ২১৯ টাকা কর ধার্য করে এর মধ্যে বিলম্ব মাশুল মোট ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা আয়কর দাবি করেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করলে সেটি খারিজ হয়ে যায়। পরে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কামাল হোসেনের আইনজীবি রিট আবেদন করেন।

বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট করা হয়েছে। রিটটির শুনানি আজ কার্যতালিকার দুই নম্বরে রয়েছে।

নিয়মমাফিক কর দেয়া রাষ্ট্রের প্রতি একজন সাধারণ নাগরিকের দায়িত্বের মধ্যে পড়লেও এই বিশিষ্ট আইনজীবী চলছে উল্টো আইনের পথে। মোটা অঙ্কের কর ফাঁকির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে বঞ্চিত করা আইন বিশেষজ্ঞকে প্রায়ই অন্যের আর্থিক অস্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

Share This Article