আশা যোগাচ্ছে নেপালের বিদ্যুৎ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:০২, মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে দেশে মোট আমদানি বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দুই হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। যা বাংলাদেশের গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ১১ শতাংশ।

নেপাল থেকে ৬৫০ কোটি টাকার জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে সরকার। আগামী পাঁচ বছর দেশটি থেকে বিদ্যুৎ কিনবে বিপিডিবি। গত মাসে সংস্থাটির বোর্ড সভায় বিদ্যুতের দর-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করা হয়। বিদ্যুৎ ক্রয়ের এ প্রস্তাব সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বর্তমানে দেশে আমদানি করা বিদ্যুতের পুরোটাই আসছে ভারত থেকে। এর মধ্যে দেশটির সঙ্গে সরকারি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি রয়েছে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আদানির ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসছে এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট।

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে দেশে মোট আমদানি বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দুই হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। যা বাংলাদেশের গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ১১ শতাংশ।

ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে নেপালের এ ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশে আসবে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সীমান্ত না থাকায় এক্ষেত্রে ভারতীয় সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করা হবে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার এইচভিডিসি স্টেশন (সাব-স্টেশন) ব্যবহার করে এ বিদ্যুৎ আসবে দেশে। এক্ষেত্রে ট্রেডিং মার্জিন ও সঞ্চালন চার্জ দিতে হবে প্রতিবেশী দেশটিকে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৬ দশমিক ৪০ ইউএস সেন্ট। আর সঞ্চালন লাইন ব্যবহারের জন্য এনভিভিএন (এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভ্যাপর নিগম) ট্রেডিং মার্জিন দশমিক শূন্য ৫৯৫ ভারতীয় রুপি (প্রতি কিলোওয়াট)। এর সঙ্গে সঞ্চালন চার্জ যুক্ত হবে। প্রতি কিলোওয়াট সঞ্চালন চার্জ কত হবে সেটি বিপিডিবির কাগজপত্রে উল্লেখ না থাকলেও ভারতীয় সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি অথরিটির হিসাব অনুযায়ী এ চার্জ যুক্ত হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article