টিআইবি এসব রিপোর্ট কেন দেয়?
![টিআইবি এসব রিপোর্ট কেন দেয়?](/Uploads/Images/News/2024/6/Image-24648-20240610141521.webp)
'কোটিপতি' শব্দটি দেশবাসীর মনে নাড়া দিলেও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে এগুলোর ধারণায় পরিবর্তন হয়েছে। এসবে আর আগ্রহ নেই দেশবাসীর।কেননা দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই আজ কোটিপতিদের ছড়াছড়ি।
গত ৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্যদের পেছনে ফেলেছেন। এ সময়ে তিন গুণের বেশি কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে, নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের প্রায় ৭৯ শতাংশই ব্যবসায়ী বলেও জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ৯ জুন রাজধানীর ধানমন্ডিতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় টিআইবি।
এর আগে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেও এমপি প্রার্থীদের কোটিপতি হওয়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সমালোচনায় পড়েছিল সংস্থাটি।
অতীতে 'কোটিপতি' শব্দটি দেশবাসীর মনে নাড়া দিলেও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে এগুলোর ধারণায় পরিবর্তন হয়েছে। এসবে আর আগ্রহ নেই দেশবাসীর।কেননা দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই আজ কোটিপতিদের ছড়াছড়ি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোনো রিপোর্টেরই ইতিবাচক বা নেতিবাচক একটি প্রভাব থাকে।আর এটি নির্ভর করে রিপোর্টের প্রেসেন্টেশনের ওপর।আর রিপোর্টের শিরোনাম বা প্রেসেন্টেশনই রিপোর্ট তৈরির উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে।
ফলে যেকোনো নির্বাচনের আগে বা পরে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে টিআইবির নেতিবাচক ধারণা সম্বলিত এসব প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্য কি তা স্পষ্ট না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে কোটিপতি থাকা কি দোষের?
জনপ্রতিনিধিরাতো নির্বাচন কমিশনে তাদের সম্পদ সংক্রান্ত সকল তথ্যই ঘোষণা করেন।কিন্তু টিআইবির রিপোর্ট যেন সম্পদশালী হওয়াকেই নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করে হিংসার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে সমাজে।
সমালোচকরা বলছেন, নির্বাচনী ব্যয়ভার বেড়ে যাওয়ায় ধনীরা নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। সারা দুনিয়াতেই ধনকুবের প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকে।কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত রাষ্ট্র গুলোর নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো রিপোর্টই জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের পরিমান দিয়ে তাদের চিহ্নিত করেনা।তারা অবৈধ সম্পদ বা অনৈতিক বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে থাকে। বৈশ্বিক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকা বা ইউরোপের কোনো দেশের নির্বাচনের সময় কেন কোটিপতির তালিকা প্রকাশ করে না টিআইবি, এমন প্রশ্নও রাখেন বিশ্লেষকরা।
সমালোচকরা বলছেন, মূলত সরকারকে বিব্রত করতেই অনুদানের নামে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর অর্থের বিনিময়ে এদেশে নির্বাচনের আগে ও পরে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। কথিত আছে, বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং এনজিগুলোও তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে এসব কাজ করায়। পৃথিবীর কোনো দেশে না পারলেও বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতেই তারা এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।