ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানালেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৫৩, মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

 ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯টি জেলা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন।

তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মহিববুর রহমান।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকালও দমকা হাওয়া থাকবে। জলাবদ্ধতা এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কাজ চলছে, সেটা পুরোপুরি দুর্যোগ না কেটে যাওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
 
তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে বা কোনো সময়ই নয়ছয় হওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও খতিয়ে দেখা হবে, যেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অনুদানের টাকা পান। সব মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে কাজ করছে।
 
এরপর দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এ ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেমালে। তারমধ্যে জেলাগুলো হচ্ছে- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। 
 
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। 
 
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাসমূহে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি। দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ১ হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে চালু আছে ১ হাজার ৪০০টি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্যে আমরা এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে পনেরোটি জেলায় জি আর (ক্যাশ) তিন কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ হাজার ৫শত মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামীকালকের মঙ্গলবারের (২৮ মে) পর থেকে ধীরে ধীরে সিলেট হয়ে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাবে রেমাল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শন করা হবে। 

বিষয়ঃ সরকার

Share This Article