আর্থিক চাপে বিএনপি: জামায়াতের সহযোগিতা কামনা!
![আর্থিক চাপে বিএনপি: জামায়াতের সহযোগিতা কামনা!](/Uploads/Images/News/2024/5/Image-24125-20240521135514.webp)
নিবন্ধনহীন দল হলেও জামায়াতের অর্থের অভাব নেই। কেননা তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা নির্দিষ্ট হারে নিয়মিত চাঁদা দেন, যার পরিমাণ কম নয়।
আবারও রাজপথ দখলের চিন্তা করছে বিএনপি। কিন্তু সাত জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকেই অনেকটা অর্থকষ্টে ভুগছে দলটি। আর্থিক সামর্থ্য কমে যাওয়ায় নতুন কর্মসূচি দিতে পারছে না হাইকমান্ড। এমন সমস্যার কথা সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জানালেও মেলেনি কোনো আশ্বাস। তবে সংকট কাটিয়ে উঠতে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জামায়াতের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্র।
সূত্রমতে, আন্দোলন-কর্মসূচি চালাতে গেল বছর বিএনপিতে বিপুল পরিমাণে অর্থ এসেছে। ক্ষমতাসীনদের পতন দেখার আশায় দুই হাতে অর্থ ঢেলেছিলেন ডান-বাম ঘরানার বহু ব্যবসায়ী। কিন্তু ভোটের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিধররা শেখ হাসিনার সরকারকে মেনে নেয়ায় তারা এখন হাত-পা গুটিয়ে নিয়েছেন। প্রবাসী বা বিদেশে পলাতক নেতারাও এখন তেমন সহযোগিতা করছেন না। ফলে ভাটা পড়তে থাকে দলের অর্থভাণ্ডারে। তাই এই পরিস্থিতি উত্তরণে জামায়াতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির হাইকমান্ড মনে করছে, নিবন্ধনহীন দল হলেও জামায়াতের অর্থের অভাব নেই। কেননা তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা নির্দিষ্ট হারে নিয়মিত চাঁদা দেন, যার পরিমাণ কম নয়। কিন্তু প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি কম থাকায় দলটির খরচের খাত তুলনামূলক কম হওয়ায় দলটির কোষাগারে অলস অর্থ রয়েছে যথেষ্ট। এজন্য দলটির আর্থিক ঘাটতি হয় না।
এছাড়া বিএনপিকে চাঙা রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ অতীতেও অনুদান দিয়েছে জামায়াত। এ কারণেই সংগঠনটির কাছে ফের সহযোগিতা চাওয়া হয়। তবে সহযোগিতার বিনিময়ে জামায়াতকে বিএনপি কি কি রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করবে সে বিষয়ে এখনও সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।