আসছে বাজেট ২০২৪-২৫

বাজেটে থোক বরাদ্দের প্রস্তাব না করতে নির্দেশনা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৩৫, বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩০

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের প্রাক্কলন এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তা মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলানযোগ্য হয়।

আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে থোক বরাদ্দের প্রস্তাব না দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগকে সরকারের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হয়, তেমন সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে এবং সাধারণভাবে বাজেটে কোনো ধরনের থোক বরাদ্দ প্রস্তাব করা যাবে না।


মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতির আওতাভুক্ত সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে বাজেট প্রণয়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বিস্তারিত বাজেট প্রাক্কলন এবং একই সঙ্গে পরবর্তী ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের প্রক্ষেপণ প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। প্রণীতব্য এ বাজেট প্রস্তাব আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


অর্থ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের প্রাক্কলন এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তা মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলানযোগ্য হয়। ত্রিপক্ষীয় সভায় আলোচনার ভিত্তিতে যে ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, ঐ ব্যয়সীমাই সর্বোচ্চ।

নির্দেশনায় আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বিস্তারিত বাজেট প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে চারটি নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে বর্ণিত কৌশলগত উদ্দেশ্য এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫)। দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১), নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগের নিজস্ব নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত সরকারের নীতি ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা এবং মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে সক্ষম হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশু উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সহায়ক কার্যক্রমে বরাদ্দ বাড়াতে সক্ষম হয় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং নারী ও শিশু উন্নয়নে প্রদেয় সেবার মান ও পরিমাণ বাড়ে।


এতে আরও বলা হয়েছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রাক্কলন/প্রক্ষেপণ  প্রণয়নে ত্রিপক্ষীয় সভায় নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রকল্পওয়ারি বরাদ্দ পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুনর্নির্ধারণ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রদত্ত মোট এডিপি ব্যয়সীমা কোনোভাবেই অতিক্রম করা যাবে না। প্রদত্ত ব্যয়সীমার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য (ডিপিএ/আরপিএ), নগদ বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি বাবদ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প সাহায্য, নগদ বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি ব্যয় বিবেচনা করে প্রকল্পের প্রাক্কলন/প্রক্ষেপণ তৈরি করতে হবে। এ বাবদ ব্যয়সীমার অতিরিক্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

এছাড়া, অননুমোদিত কোনো প্রকল্প বা স্কিমের জন্য কোনো বরাদ্দ প্রস্তাব করা যাবে না। অন্যদিকে, অনুমোদিত সব প্রকল্পের জন্য প্রক্ষেপণে বরাদ্দ রাখতে হবে। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এডিপিতে নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব পরীক্ষা করে প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা নেবে পরিকল্পনা কমিশন।

সরকারি অনুদানে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর বরাদ্দ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থার চলতি অর্থবছরের নিজস্ব আয় ও আয়ের উৎসগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। ত্রিপক্ষীয় সভায় সম্মত প্রাক্কলিত ও প্রক্ষেপিত আয় সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে দেখাতে হবে। নিজস্ব আয়ের অর্থ বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার জন্য ব্যয়সীমা/সরকারি অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করে তার ভিত্তিতে বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ প্রণয়ন করতে হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article