অপরাধ ঢাকতে নোরাড প্রধানের কাছে দেয়া চিঠিতে ড. ইউনুস যা লিখেছিলেন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:২৫, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ কল্যাণের মধ্যে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে সেটা বাংলাদেশ এবং নরওয়ের মধ্যে চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনকি এই অপরাধের জন্য ড. ইউনূসের কাছে জবাবদিহিতাও চাওয়া হয়। তবে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

 


 

১৯৯৮ সালে নরওয়েজীয়ান দাতা সংস্থা নোরাড’র কাছ থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকার বড় একটি অনুদান পায় নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদের ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ বাংক। কথা ছিল এই অর্থ দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু তা না করে নিজের একক সিদ্ধান্তে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যানে সেই অর্থ সরিয়ে নেন ড. ইউনূস। বিষয়টি জানাজানি হলে সে সময় এ নিয়ে খোদ আপত্তি জানায় নরওয়ে সরকার। এবং এর রেশ ধরে দুর্নীতির অভিযোগ এনে একটি মামলাও ঠুকে দেয় নোরাড কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মামলাটি জানাজানি হবার তীব্র শঙ্কায় ছিলেন ড. ইউনূস। এরই অংশ হিসেবে মামলাটি ধামাচাপা দিতে তিনি নোরাড প্রধান টোব স্ট্রেন গ্রেডহার্ডসিনের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়ে তার সাক্ষাৎ কামনা করেন।

চিঠিতে ড. ইউনূস লেখেন, "প্রিয় টোব, আমার আপনার সাহায্য দরকার। যদি সরকারের ভিতরে এবং বাইরের মানুষ যারা 'গ্রামীণ ব্যাংক' সমর্থন করে না এ চিঠি তাদের কাছে পড়লে আমরা বাংলাদেশে গভীর সমস্যায় পড়বো।" কিন্তু এই আপোষেও তিনি ব্যর্থ হন।

জানা যায়, ড. ইউনূসের সেই অনুদানের অর্থ নয়-ছয়ের বিষয়টিতে নরওয়ের দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই পক্ষই একমত হয়েছিলো যে গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ কল্যাণের মধ্যে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে সেটা বাংলাদেশ এবং নরওয়ের মধ্যে চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনকি এই অপরাধের জন্য ড. ইউনূসের কাছে জবাবদিহিতাও চাওয়া হয়। তবে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। একই সাথে তাকে অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্যও যথেষ্ট চাপ দেয় নোরাড। অবশেষে অপরাধ স্বীকার করে এবং এক প্রকার বাধ্য হয়েই দুই দফায় কিছু টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে ফেরতও দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাউকে যখন কোনো ফান্ড দেওয়া হয় সেটা বিদেশি হোক বা দেশি বরাদ্দ দিয়ে একটা ‘কোড অফ কনডাক্ট’  করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এই ফান্ডটা কি কারণে দেওয়া হলো ও কিভাবে এটা ব্যবহার হবে সেই শর্ত মেনে বা এই প্রতিজ্ঞা করেই এই ফান্ডটা কালেক্ট করতে হয়। কাজেই এই শর্ত ভঙ্গ করলে এটা শুধু নিয়মের ব্যতিক্রমই নয়, এটা দণ্ডনীয় অপরাধও বটে। আর এই কাজটাই অনেক বিস্তৃভাবে  গ্রামীণ ব্যাংকে হয়েছে অহরহ, যার নেপত্থের কারিগর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Share This Article