যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেলেও কেন গ্রামীণ ব্যাংক আড়ালে চলে গেল?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১০, সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

কাগজে কলমে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক সরকার এবং ঋণ গ্রহীতা জনগণ। কিন্তু ‘অসাধারণ’চতুরতায় রাষ্ট্র ও জনগণের অর্থ ড. ইউনূস পুরে ফেলেন তার পকেটে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস গড়ে তুলেছেন তার নিয়ন্ত্রণাধীন ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। আর এখানেই লুকিয়ে আছে গ্রামীণ ব্যাংক আড়াল করার রহস্য।


 

বাংলাদেশের প্রথম নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৭৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক এর ধারণা প্রবর্তন করেন এবং এটি প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক এর একটি প্রকল্প ছিল।পরে ১৯৮৩ সলে একটি অর্ডিনেন্স'র মাধ্যমে স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।এর মাধ্যমেই তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর থেকেই মুহম্মদ ইউনূস নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে দরিদ্রদের সহায়তার উদ্দেশ্যে যে ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের মানবিক কারণে তিনি নোবেল সম্মাননা পেয়েছেন, সেই গ্রামীণ ব্যাংক একটা সময় অন্তরালে চলে যায়, যার পেছনে নাটের গুরু ছিলেন ড. ইউনূস নিজেই।

কাগজে কলমে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক সরকার এবং ঋণ গ্রহীতা জনগণ। কিন্তু ‘অসাধারণ’চতুরতায় রাষ্ট্র ও জনগণের অর্থ ড. ইউনূস পুরে ফেলেন তার পকেটে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস গড়ে তুলেছেন তার নিয়ন্ত্রণাধীন ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। আর এখানেই লুকিয়ে আছে গ্রামীণ ব্যাংক আড়াল করার রহস্য।

একজন উদ্যোক্তাকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সামনে এগোতে হয়। তবে ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি তেমন নয়। তিনি সবকিছুই করেছেন মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো। সরকারের টাকায় গ্রামীণ ব্যাংক করেছেন। আবার গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।অর্থাৎ তার সকল অর্থ'র মালিকই সরকার।

অন্যদিকে যে গ্রামীণ ব্যাংককে অসহায় মানুষদের স্বপ্নের বাতিঘর বলা হতো, যে ব্যাংক এর কার্যক্রমকে বিক্রি করে নোবেল লুফে নিয়েছেন  ধীরে ধীরে সেই ব্যাংকটিকেই যেন পরিকল্পিতভাবে শেষ করে দেয়ার ফন্দি এঁটে দেশে বিদেশে  সর্বত্রই তিনি নিজের গান গেয়েছেন গ্রামীন ব্যাংককে আড়াল করে। তাইতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তথা গণমাধ্যম গ্রামীন ব্যাংকের খবর না নিয়ে মোজেছিলো ইউনুসেই।

এদিকে গ্রামীন ব্যাংকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পাহাড় জমা হতে থাকে। কোষাগার ফাঁকা। সেখানে কোনো অর্থ নেই। সব চলে যায় অন্যত্র। অথচ, সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধের জন্য মানুষ নাজেহাল। কিন্তু এসব অভিযোগের পাহাড় ঠেলে ড. ইউনূস ২০১১ সালে যেই দেখলেন গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে তাকে সরে যেতে হবে তখনই ব্যাংকের হিসাবে উলোটপালট করতে থাকেন। এমনকি এই ব্যাংকে তার যত শেয়ার ছিল সেগুলোও বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। কেউ তাকে কিছু বলেননি, কারণ তিনি একজন নোবেল লরিয়েট।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রামীণ ব্যাংককে ব্যবহার করে ড. ইউনূস যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেলেও পুরস্কার হাতে পেয়ে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকেই ভুলে গেছেন।বেঈমানি করেছেন ব্যাংকটির সাথে। ‘লাভ ও লোভের’ বশবর্তী হয়েই তিনি একের পর এক যেসব কাজ করেছেন তাতে তার ‘দুর্নীতি’ তথা লোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এর মাধ্যমে নোবেল পুরস্কারকেও তিনি কলঙ্কিত করেছেন।

Share This Article