টেলিনরের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েও কেন তা করেননি ইউনূস
- শান্তিতে নোবেল পেতে ড. ইউনূসকে সহায়তা করেছিল টেলিনর
- তদবিরের কারণে অর্থনীবিদ হওয়া সত্বেও শান্তিতে নোবেল পান ইউনূস
- এসব ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই চুপসে যান ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও অংশীদার নরওয়ের টেলিনরের বিরুদ্ধে এক সময় মামলা করতে চেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। কিন্তু টেলিনরের প্যাঁচে পড়ে সেই মামলা থেকে তাকে সরে আসতে হয়েছিল।
কি এমন ঘটেছিলো তখন?
গ্রামীণফোনে নরওয়ের টেলিফোন কোম্পানি টেলিনরের মালিকানা ৬২ শতাংশ ও গ্রামীণ টেলিকমের মালিকানা ৩৮ শতাংশ। ১৯৯৬ সালে টেলিনর গ্রামীণফোনের বেশির ভাগ মালিকানা বাংলাদেশিদের কাছে হস্তান্তরের অঙ্গীকারসহ চুক্তি করেছিল। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী মালিকানা হস্তান্তর করেনি বরং চুক্তির কোনো আইনগত বৈধতা নেই বলে উড়িয়ে দেয় টেলিনর।
২০০৮ সালে টেলিনরকে বাধ্য করতে নরওয়ে যান গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস। যাওয়ার আগে টেলিনরের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রকাশ্য হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নরওয়েতে গিয়েও উল্টো পায়ে ফেরত আসতে হয়। মামলা তো দূরের কথা, এই বিষয়ে আর কোনো উচ্চবাচ্য করেননি ড. ইউনূস।
কোন অদৃশ্য কারণে আইনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরে গেলেন ড. ইউনূস?
আসলে কাঁচের দেয়ালে বসে অন্যের সাথে যুদ্ধ করা যায় না। আর তেমনটিই করেছিলেন ড. ইউনুস। জানা গেছে, গ্রামীণ ফোন কোম্পানি ১৩ বছর বয়সের শিশুশ্রমিক ব্যবহারের খবর নরওয়ের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়, ওই শিশু শ্রমিকরা টেলিনরের অংশীদার গ্রামীণফোনের অ্যান্টেনা টাওয়ার সরবরাহের কাজে নিয়োজিত।
ড. ইউনুস মামলা করতে চাইলে শিশু শ্রমের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে টেলিনর। আর শিশু শ্রমের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই মামলা থেকে পিছিয়ে আসেন ড. ইউনুস। এগুলো ছিল ভিতরের দৃশ্য। কিন্তু ততদিনে গণমাধ্যমে গ্রামীণ ফোনে শিশুশ্রম ব্যবহৃত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হলে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করতে পরবর্তীতে এই শিশুশ্রমের দায় কোম্পানির সিংহভাগ শেয়ারের মালিক টেলিনরের ওপর চাপিয়ে আরেকবার টেলিনরের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছিলেন ইউনুস, যদিও এবারও তাঁকে নরওয়ে কর্তৃক প্রদত্ত সেই নোবেল প্রাইজের ভারে সমঝোতায় আসতে হয় টেলিনরের সাথে।
সমালোচকরা বলছেন, দুই বছর আগেই শান্তিতে নোবেল পেতে ড. ইউনূসকে সহায়তা করেছিল টেলিনর। নোবেল শান্তি কমিটির কাছে টেলিনরের তদবিরের কারণে অর্থনীবিদ হওয়া সত্বেও ড. ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছিল। ফলে এসব ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে টেলিনরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েও চুপসে যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।