বিদ্যুতে প্রতি ইউনিটে সরকার ভুর্তুকি দিচ্ছে ৩৫ টাকা!
![বিদ্যুতে প্রতি ইউনিটে সরকার ভুর্তুকি দিচ্ছে ৩৫ টাকা!](/Uploads/Images/News/2024/2/Image-21558-20240228085028.webp)
মার্চ মাস থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বিদ্যুতে বর্তমানে সরকার বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। এত বেশি ভর্তুর্কি দেয়া সম্ভব নয়। আগে ভর্তুকি আরো বেশি ছিলো, ক্রমান্বয়ে তা কমিয়ে আনা হচ্ছে।’
তথ্যমতে, দেশে ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এরমধ্যে ডিজেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ৩৫ টাকা। তবে বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে এখন তা ৪০ টাকায় ঠেকেছে। এর বিপরীতে বাসাবাড়িতে এই বিদ্যুৎ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ইউনিটে সরকার ভুর্তুকি দিচ্ছে ৩৫ টাকা।অন্যদিকে এলএনজি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় প্রতি ইউনিট ৩৯ টাকা। আর বিক্রি হয় ৮ টাকা। এখানেও প্রতি ইউনিটে সরকার ভর্তুকি দেয় ৩২ টাকা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে সরকার। তাই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি নানা সংকটে বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসের দামও বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে ডলারের দাম, কমেছে টাকার মান। ফলে বাস্তবতার আলোকে ভর্তুর্কি কমিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নয়, বরং সমন্বয় করছে সরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।