'ওয়ান ইলেভেন' নিয়ে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করলেন ইউনুস!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৪৪, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২ ফাল্গুন ১৪৩০

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বল্প মেয়াদ থাকায় সেই প্রস্তাবে ড. ইউনূস রাজি হননি। তিনি  দীর্ঘ মেয়াদে পাঁচ-দশ বছর দায়িত্বে থেকে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন।

বিতর্কের রেশ যেন কাটছেই না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তার অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই 'ওয়ান ইলেভেন' টপিক সামনে আনলেন এই নোবেলজয়ী নিজেই। এমনকি এক-এগারোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথাও স্বীকার করলেন নিজ মুখে। সম্প্রতি ডয়চে ভেলে 'খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে অকপটেই সব বলে দেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল তথা 'ওয়ান ইলেভেন'র সময় আমাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এজন্য মিলিটারিরা আমার বাসায় এসে সারারাত বসেছিলেন। আমাকে রাজি করাতে তারা নানাভাবেই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ আমি ক্ষমতা নেয়ার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।’

কিন্তু কেন রাজি হননি তা প্রকাশ করেননি, গোপন রেখেছিলেন। যদিও তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ নিজের লেখা ‘শান্তির স্বপ্নে’ বইতেও সুস্পষ্ট কিছু তথ্য উল্লেখ করেছিলেন এ বিষয়ে। তিনি লিখেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বল্প মেয়াদ থাকায় সেই প্রস্তাবে ড. ইউনূস রাজি হননি। তিনি  দীর্ঘ মেয়াদে পাঁচ-দশ বছর দায়িত্বে থেকে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন।'

মূলত এ আগ্রহ থেকেই ‘একান্তে কথা বলতে’ সেসময়ের প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মাসুদউদ্দীন চৌধুরীকে নিজের বাসায় ডেকেছিলেন ড. ইউনুস। অথচ তিনি সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রকৃত ইচ্ছে বা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার শর্তের কথা গোপন করে 'রাজি না হওয়া'র বিষয়টিকে প্রকাশ করেছেন।

তথ্যমতে, দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা থেকেই তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। কেননা ওয়ান ইলেভেন ঘটনার প্রস্তুতি পর্বেই তাদের এ বিষয়ে ফয়সালা হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকলে ইউনূসকে সরে আসতে হয়।

সমালোচকরা বলছেন, ‘ওয়ান ইলেভেনে’ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে ড. ইউনূস যে আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন তা বহু বছর ধরেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এতদিন পর মুখ খোলার কারণ হলো তিনি বেকায়দায় রয়েছেন। কেননা তার বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে চলমান। আর এসব থেকে ‘সহজে বাঁচার উপায় নেই’ এটি নোবেলজয়ী নিজেও বুঝতে পেরেছেন। তাই ‘নিজেকে নির্লোভী’ কিংবা ‘গণতন্ত্রকামী’ দাবি করে পুরোনো কাহিনিকে নিজের মতো করে বর্ণনা করে নজর কাড়তে চাইছেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article