আমরা ভারতীয় মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবো: প্রতিমন্ত্রী
![আমরা ভারতীয় মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবো: প্রতিমন্ত্রী](/Uploads/Images/News/2024/2/Image-21022-20240212113451.webp)
সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের জায়গায় নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এরইমধ্যে তাদের সঙ্গে পর্যটন পরিবহনেও অভাবনীয় একটি জায়গায় চলে এসেছি।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারতীয় মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর উদ্বোধন শেষে সুলতানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা ভারতীয় মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবো।
গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর বন্দরটি এ অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলো। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরটি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৩তম নৌবন্দর। খুব শিগগির অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তরিত হবে।
এর আগে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ যেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়ার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের জায়গায় নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এরইমধ্যে তাদের সঙ্গে পর্যটন পরিবহনেও অভাবনীয় একটি জায়গায় চলে এসেছি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার ২৩টিই বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে। অপরটি মিয়ানমারের সঙ্গে। এরইমধ্যে ১৭টি স্থলবন্দর চালু হয়েছে।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে দীর্ঘ ৫৯ বছরের অপেক্ষা শেষে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের মায়া বন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।