যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন : ট্রাম্প বিজয়ী হলে 'সরকার বিরোধীরা' সংকটে পড়বে!
![যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন : ট্রাম্প বিজয়ী হলে 'সরকার বিরোধীরা' সংকটে পড়বে!](/Uploads/Images/News/2024/2/Image-21019-20240212112014.webp)
বিগত ট্রাম্পের শাসনামলে বাংলাদেশে রাজনীতি মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে প্রায় অনুচ্চারিত এবং গুরুত্বহীন একটি অধ্যায় ছিল। কিন্তু বর্তমান ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একেবারেই উল্টো ভূমিকা পালন করছেন। এ অবস্থায় বাইডেনের নীতিতে সরকার বিরোধীরা যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলো ট্রাম্প জয়ী হলে তাতে ভাটা পড়ার পাশাপাশি সংকটেও পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জনপ্রিয়তা নিয়ে সম্প্রতি জরিপ চালিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সেই জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তার দৌঁড়ে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে চিন্তার ভাজ পড়েছে। অনেকেই আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হলে 'সরকার বিরোধীরা' গভীর সংকটে পড়বে বলেও জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্রে দক্ষিণ এশিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ-ভারত নিয়ে তারা অনেক বেশি মাথা ঘামায়। যেটা রিপাবলিকানরা ঘামায় না বললেই চলে। বিগত ট্রাম্পের শাসনামলে বাংলাদেশে রাজনীতি মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে প্রায় অনুচ্চারিত এবং গুরুত্বহীন একটি অধ্যায় ছিল।
কিন্তু বর্তমান ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একেবারেই উল্টো ভূমিকা পালন করছেন। প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করে তিনি প্রথমে বৈশ্বিক গণতন্ত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের উপরে নজর দেন। পরবর্তীকালে যেসব দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের শোচনীয় অবস্থা সেসব দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাংলাদেশের উপরেও এ নীতি অব্যাহত রেখেছিল তারা।
দেখা গেছে, র্যাবের উপর স্যাংশনের পর গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে নির্বাচন নিয়েও নানান চাপ দিয়ে আসছিলো বাইডেন প্রশাসন। একদিকে ভিসানীতির প্রয়োগ, আরেকদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করেছিল তারা। এ অবস্থায় ফের ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদশের নীতি পরিবর্তন হবে। আর বাইডেনের নীতিতে সরকার বিরোধীরা যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলো তাতে ভাটা পড়ার পাশাপাশি সংকটেও পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।