পাকিস্তানের নির্বাচন : আরও বেশি বাংলাদেশ নির্ভর হল যুক্তরাষ্ট্র!
![পাকিস্তানের নির্বাচন : আরও বেশি বাংলাদেশ নির্ভর হল যুক্তরাষ্ট্র!](/Uploads/Images/News/2024/2/Image-20992-20240211114025.webp)
পাকিস্তানের নির্বাচনে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশ্যা পূরণ করতে পারেনি। নির্বাসিত নওয়াজ শরীফকে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয় মার্কিন প্রচেষ্টায়। মামলা থাকা সত্ত্বেও তিনি নির্বাচনের অংশ নিতে পেরেছিলেন। অন্যদিকে ইমরান খানকে জেলে ঢুকিয়ে তার দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো, যাতে কিছুতেই তারা ক্ষমতার ধারে কাছেও আসতে না পারে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। ইমরান খানের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের রাজনীতি ঘুরিয়ে দিয়েছেন। মার্কিন চাওয়া পাওয়ার হিসেবও এখন সুদূর পরাহত।
পাকিস্তানের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা চেয়েছিল তা পায়নি। নানা মামলায় প্রায় নির্বাসিত নওয়াজ শরীফকে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয় মার্কিন প্রচেষ্টায়। মামলা থাকা সত্ত্বেও তিনি নির্বাচনের অংশ নিতে পেরেছিলেন। অন্যদিকে ইমরান খানকে জেলে ঢুকিয়ে তার দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো, যাতে কিছুতেই তারা ক্ষমতার ধারে কাছেও আসতে না পারে।
তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। ইমরান খানের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের রাজনীতি ঘুরিয়ে দিয়েছেন। মার্কিন চাওয়া পাওয়ার হিসেবও এখন সুদূর পরাহত।
স্পষ্টতই পাকিস্তান একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে যাচ্ছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি জোট করে সরকার গঠন করার কথা রয়েছে। কিন্তু নজিরবিহীন কারচুপি র পরও পাকিস্তানের জনগণ সুস্পষ্টভাবে ইমরান খানের পিটিআই এর পক্ষে রায় দিয়েছে।
আসন সংখ্যা বলছে ইমরান খানকে যদি সরকার গঠন করতে নাও দেয়া হয় তবুও আগামী দিনে পাকিস্তানের রাজনীতির প্রধান নিয়ন্ত্রক হয়ে থাকবেন ইমরান খান। এটি যদি হয়, তিনি আরও বেশি মার্কিন বিরোধী অবস্থান হিসাবে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হবেন।
প্রসঙ্গত: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিকার অর্থে পাকিস্তান ছাড়া আর কোন মিত্র এই উপমহাদেশে ছিল না। সেই পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে বের হয়ে গেলে এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের আরও বেশি নির্ভরতা বাড়বে।আর সেটি তারা জানে বলেই বাংলাদেশের নির্বাচন ক্রুটিপূর্ণ বলার পরও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।