দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ভারতের ভূমিকা আসলে কেমন ছিল

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২৪, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২৮ মাঘ ১৪৩০

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও সখ্যতা গড়তে ব্যস্ত ছিল, এর উপর ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন সরকারের উপর নানামুখী চাপ তৈরি করছিল, ঠিক সেসময়ে সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ অপতৎপরতা রুখতে সহযোগীতা করেছিল ভারত, যা এখন ‘ওপেন সিক্রেট’।
 

 

বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই যে দেশটির প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য ‘ভূমিকা’নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়ে থাকে  তা ভারত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘ভারত ফ্যাক্টর’যেমন ঘুরেফিরে আসে, তেমনি ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে ঠিক কী চাইছে তা নিয়েও জল্পনার কমতি থাকে না। তবে ব্যতিক্রম ছিল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিবেশি ভারতের ভূমিকা কী ছিল তা শুরু থেকেই অনেকটা পরিস্কার ছিল। বিশেষ করে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও সখ্যতা গড়তে ব্যস্ত ছিল, এর উপর ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন সরকারের উপর নানামুখী চাপ তৈরি করছিল, ঠিক সেসময়ে সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ অপতৎপরতা রুখতে সহযোগীতা করেছিল ভারত, যা এখন ‘ওপেন সিক্রেট’।

সে সময়ে অনেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান বাইডেন প্রশাসন মানবেন কিনা- তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু জি-২০ সম্মেলনে নৈশ্যভোজে অংশ নিয়ে খোদ মোদির আগ্রহে বাইডেন ও ঋষি সুনাকের মতো বিশ্বনেতাদের সাথে শেখ হাসিনার আন্তরিক কুশল বিনিময় ও সেই সাথে  সেলফি তোলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।

কথিত আছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে নিয়ে নানানরকম ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ভারতের সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ।সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন বানচাল বা বাংলাদেশ সরকারের বিপক্ষে নানান নিষেধাজ্ঞা জারির যে প্রচেষ্টা ছিল, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারত তা প্রতিহতে ভূমিকা রাখে। সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষায় অপরিহার্য নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রকাশ্য বিরোধিতার কথাও জানায় ভারত। এর ফলেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মোদি তথা ভারতের সুসম্পর্ক ঐতিহাসিক। এছাড়া  বাংলাদেশ কেবল ভারতের প্রতিবেশীই নয়, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদারও। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নিরাপত্তায়ও বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং বাংলাদেশে বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার ক্ষমতাসীন থাকা নয়াদিল্লির জন্য খুবই প্রয়োজন।

Share This Article