উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পথ খুঁজছে বিএনপি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:২৯, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২৩ মাঘ ১৪৩০

উপজেলা নির্বাচনে না গেলে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে দোলাচলে রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম। তাই এখনই চূড়ান্ত কিছু জানাতে চাইছে না দলটির হাইকমান্ড।

 

 

 

দ্বাদশ সংসদের পর এখন আওয়ামী লীগের নজর উপজেলা নির্বাচনের দিকে। ভোট সামনে রেখে চলছে নানান প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বিএনপিও। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পথ খুঁজছে দলটি। এ নিয়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছেন নেতারা। আন্দোলনে ব্যর্থতা আর জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর মাঠের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ার কারণেই বিএনপির এমন কৌশল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে এরই মধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। নেয়া হয়েছে আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকাও। একই সঙ্গে প্রায় সব উপজেলার ‘হাল-হাকিকত’ জানতে চেয়েছে হাইকমান্ড। যদিও এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছুই জানানো হয়নি। তবে দলীয়ভাবে প্রার্থী না দিয়ে ‘স্বতন্ত্র মোড়কে’ ভোট করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্র।

সূত্র জানায়, দলটি ঘোষণা দিয়ে কিছু করলে বিরোধীদের কাছ থেকে সরকারের ‘বৈধতা’ পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসবে। সরকারকে বিএনপি মেনে নিয়েছে এমন কথাও উঠতে পারে। আবার উপজেলা নির্বাচনে না গেলে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে দোলাচলে রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম। তাই এখনই চূড়ান্ত কিছু জানাতে চাইছে না দলটির হাইকমান্ড।

তৃণমূল নেতারা বলছেন, এবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করবেন। কেননা সংসদ নির্বাচনে দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের মাঝে দেখা দেয়া বিভক্তি এখনও রয়ে গেছে; খুব দ্রুত মিটবে বলেও মনে হচ্ছে না। এছাড়া ‘নৌকা’ প্রতীক কিংবা একক প্রার্থীও দিচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। তাই ভোটে অংশ নিলে বিএনপির জন্য বড় ধরনের সুবিধা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করেই নির্বাচনী মাঠে নামতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

Share This Article