নির্বাচনে বাধা আসলেও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন
![নির্বাচনে বাধা আসলেও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন](/Uploads/Images/News/2023/11/Image-18046-20231130064440.webp)
যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সেখানে সরাসরি বিএনপি অভিযুক্ত হয়। কারণ তারা তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করাসহ সরাসরি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখন কেন নিশ্চুপ যুক্তরাষ্ট্র? কেন এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুরু হচ্ছে না?
মে মাসে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছিল যে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টিকারীদের ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে। কিন্তু সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হওয়ার পরেও একের পর এক বাধা সৃষ্টি করে চলেছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।
ফলে প্রশ্ন উঠছে, ভিসা নীতির ব্যাপারে এখন কোন রকম উচ্চবাক্য নেই কেন যুক্তরাষ্ট্রের? এখনও নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুরু হচ্ছে না কেন?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যারা বাধা দিচ্ছে, প্রতিনিয়ত অগ্নিসংযোগ করছে, যারা মানবাধিকার, সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে, তারা কেন এখন নীরব? তারা তো নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার মতো কাজ যারা করবে, তাদের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিল। তবে এখন কেন কিছু বলছে না? তাহলে এই ভিসা নীতি কার বিরুদ্ধে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সমালোচকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সেখানে সরাসরি বিএনপি অভিযুক্ত হয়। কারণ তারা তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করাসহ সরাসরি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে।দলটি হরতাল-অবরোধ ডেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে লিপ্ত। এই বিষয়গুলো জনগণকে ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে। যারা এসব তৎপরতার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে এখনই ভিসা নীতির আওতায় আনা উচিত,যেহেতু ভিসানীতি ইতিমধ্যে কার্যকর বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকরা বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনে যেন জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল থাকে সেটি মার্কিনীদের আকাঙ্ক্ষা। এরই মধ্যে দেশটি কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে নয় বলেও অবস্থান পরিষ্কার করেছে। হতে পারে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই সময়ের মধ্যে যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদেরকে ধরে ধরে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর নির্বাচনের পরপরই এই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।