নির্বাচনে আসার ইঙ্গিত নজরুল ইসলাম খান'র: এপ্রিলে নির্বাচন করার দাবি
![নির্বাচনে আসার ইঙ্গিত নজরুল ইসলাম খান'র: এপ্রিলে নির্বাচন করার দাবি](/Uploads/Images/News/2023/11/Image-18025-20231129073930.webp)
- সমঝোতার ইঙ্গিত বিএনপির
- নির্বাচন পেছানোকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি
- এক মাস পর প্রকাশ্যে এলেন নজরুল ইসলাম খান
আগামী বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন হতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী এতে কোনও বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ২৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন ।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে—মেয়াদ উত্তীর্ণের আগে যদি কোনও কারণে সংসদ ভেঙে যায়, তাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। জানুয়ারির ২৯ তারিখের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন হতে পারে। সময় নেই কথাটা ঠিক না।’
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি। পর্দার আড়ালে বিদেশি কূটনীতিক ও বিশেষ মহল থেকেও বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাই সংবিধানের ভেতর থেকে দুই-তিন মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি উঠেছে বিএনপির অন্দর মহলে।
সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত হিসেবেই বিএনপি এখন নির্বাচন পেছানোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটিরি সদস্য নজরুল ইসলাম খান নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছেন বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সমালোচকরা বলছেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। দেশের জনগণ এই অসাংবিধানিক ও অস্বাভাবিক সরকার চায় না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বিএনপি। নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে বলে মনে করেন তারা।