‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ নামেও বিএনপির আগুন-সন্ত্রাস!

কাকুতি-মিনতি করে যেতে চাইলেও কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পেট্রল ঢেলে মাইক্রোবাসে আগুন জ্বালিয়ে দেন ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা। তবে নিজেদের দোষ ঢাকতে দায় চাপানো হয় স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের ওপর।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে এবার ‘নতুন রূপ’ দিয়েছে বিএনপি। ছাত্রদল, যুবদল আর স্বেচ্ছাসেবক দলকে সামনে রেখে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’। বিভাগীয় পর্যায়ের এই কর্মসূচি ঘিরেও থেমে নেই দলটির আগুন-সন্ত্রাসকাণ্ড। বাস কিংবা মাইক্রোবাসেও দেয়া হয় আগুন।
জানা গেছে, একদফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া থেকে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ শুরু করে রাজশাহী বিভাগ। এদিন সকালে রোডমার্চে অংশ নিতে বাসে করে রওনা হন নাটোর জেলার নেতা-কর্মীরা। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ডালসড়ক এলাকায় আসতেই বাস থেকে নেমে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এ সময় ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস নিয়ে কনে দেখতে যাচ্ছিলেন পাত্রপক্ষের লোকজন। কিন্তু ডালসড়ক এলাকায় তাদের গাড়িটি আটকে দেন অবরোধকারীরা। কাকুতি-মিনতি করে যেতে চাইলেও কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পেট্রল ঢেলে মাইক্রোবাসে আগুন জ্বালিয়ে দেন ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা। তবে নিজেদের দোষ ঢাকতে দায় চাপানো হয় স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের ওপর। এ নিয়ে বিএনপির ‘মিডিয়া সেল’ থেকেও ছড়ানো হয় নানান গুজব।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, পাত্রপক্ষের মাইক্রোবাসে আগুন দেন ছাত্রদল-যুবদলের চিহ্নিত কয়েকজন নেতা। এর সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নেই। এছাড়া রাজশাহী বিভাগীয় তারুণ্যের রোডমার্চকে ঘিরে ওই দিন সকাল থেকেই নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারাই এ ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কেননা তাদের সঙ্গে এখনও রক্ত, অগ্নি সন্ত্রাস আর উগ্রবাদ মিশে আছে। এজন্য আন্দোলন-কর্মসূচি যে নামেই দেয়া হোক; চরিত্র কখনোই বদলাতে পারবে না দলটি।