এডিসি হারুনকে দিয়ে খেলছে কারা
![এডিসি হারুনকে দিয়ে খেলছে কারা](/Uploads/Images/News/2023/9/Image-16002-20230913031903.webp)
পুলিশ-ছাত্রলীগকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুক-ইউটিউবে। এছাড়া হারুনকে ‘হিরো বানিয়ে’ কেউ কেউ বাহবাও দিচ্ছেন।
শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা আর জনগণের নিরাপত্তায় বরাবরই সচেষ্ট পুলিশ। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর পাশাপাশি অপরাধ দমনেও রয়েছে এগিয়ে। এজন্য মাঝে মধ্যেই আলোচনায় আসেন সংস্থাটির অনেকে। তাদেরই একজন এডিসি হারুন অর রশিদ। নানান কারণেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন পুলিশের এই চৌকশ কর্মকর্তা। কিন্তু এবার সাময়িক বরখাস্তের খড়গ নামলো তার ওপর। ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গুজবও। মূলত হারুনকে দিয়ে ‘বিশেষ কিছু মহল’ নতুন খেলায় মেতেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যমতে, যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হলো ঢাকা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কিংবা দাবি আদায়ের ডাক আসে এখান থেকেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই কর্মসূচি পালন করেন সরকারবিরোধীরা। কিন্তু নিজেদের মনমতো আন্দোলন করতে পারেন না শাসকদলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয়তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারণে। ফলে বিরোধীদলের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে তারা। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগে কর্মরত থাকায় ‘মানববন্ধন আর বিক্ষোভ-মিছিলের জোন’ হিসেবে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকা ছিল এডিসি হারুনের দায়িত্বে। এজন্য দীর্ঘদিন ধরেই তার ওপর ক্ষোভ বিরোধী শিবিরের অনেকেরই।
সম্প্রতি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনায় দুই ছাত্রনেতাকে ঘিরে এডিসি হারুন আলোচনায় আসতেই তৎপর হয়ে ওঠেন সরকারবিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা। পুলিশ-ছাত্রলীগকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুক-ইউটিউবে। এছাড়া হারুনকে ‘হিরো বানিয়ে’ কেউ কেউ বাহবাও দিচ্ছেন। কিন্তু রমনা বিভাগের এই এডিসিকে দিয়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি অনেকের। কেননা দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন চাঙা করতে পারলেও ঢাকায় ব্যর্থ হয়েছে বিরোধী ঘরানার সবকটি রাজনৈতিক দল। ছাত্রলীগের কঠোর ভূমিকায় রাজপথে দাঁড়াতে পারেননি অন্য ছাত্র সংগঠনের নেতারাও।
সচেতন মহল বলছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশ বাহিনী নিয়ে অনেক মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য ছড়িয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রলীগ নিয়েও কূটকৌশল চালানো হয়েছে। কিন্তু কোনো শক্তিতে পরাজিত করতে না পেরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের দ্বন্দ্ব লাগানোর পথ খুঁজতে থাকে তারা। আর সেই অপচেষ্টার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এডিসি হারুন। তাকে দিয়েই এবার ‘জল ঘোলানোর’ চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে কুচক্রকারীরা।
সমালোচকরা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই মাঠ কাঁপানোর চেষ্টা করেছেন সরকারবিরোধীরা। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে এখন সরকারকে নানাভাবে চাপে রাখার পাঁয়তারা করছেন। এজন্য ড. ইউনূস, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানসহ একেক দিন একেক ইস্যু চাউর হয়। এবার ছাত্রলীগকে পুলিশের ‘শত্রু’ বানানোর চেষ্টা চলছে বেশ সুকৌশলে। আসলে এসব ইস্যু সামনে এনে ক্ষমতাসীনদের তারা ফাঁদে ফেলতে চায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।