বিচার দেরি হলে ন্যায় কথাটি ঝাপসা হয়ে যায়: আইনমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১১, শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২, ১৫ শ্রাবণ ১৪২৯

জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, মামলার বিচার করতে দেরি হলে ন্যায়বিচার শব্দের ন্যায় কথাটি আস্তে আস্তে অনেক ঝাপসা হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এই ঝাপসাটা হতে দেবেন না। যখন পরিষ্কার থাকে, তখনই যেন মামলাটা শেষ হয়, সেই কাজটা আপনারা করবেন। সেই সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াবেন। আমি জনগণের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের কাছে এটুকু অনুরোধ করছি। আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারদের সুসম্পর্ক থাকলে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে এবং বিচার বিভাগ শক্তিশালী হবে।

শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মো. গোলাম সারওয়ারকে আইন ও বিচার বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সচিব হিসেবে পদায়ন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার চেষ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম চাওয়া ছিল, জনগণকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়া। কারণ তিনি কখনো ন্যায়বিচার পাননি। এমনকি মৃত্যুর পরও ন্যায়বিচার পাননি। সেক্ষেত্রে আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে, বিচার বিভাগকে এমনভাবে সাজানো, যাতে বাংলাদেশের জনগণের দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার পূরণ হয়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আনিসুল হক বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, বিচার বিভাগের স্বার্থে আপনারা সরকারের কাছে বা রাষ্ট্রের কাছে যা চাইবেন, দিয়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে দ্রুত ন্যায়বিচার চাই। পাকিস্তান আমলে দেখেছি, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর কোনো বিচার হয়নি। এসব হত্যার বিচার না হওয়াটা আমাদের মনে ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। জনগণের এই রক্তক্ষরণ আপনারা বন্ধ করবেন।

বিচার দেরি হলে ন্যায় কথাটি ঝাপসা হয়ে যায়: আইনমন্ত্রী

তিনি বলেন, জনগণের টাকা-পয়সায় দেশ চলে, তাদের পরিশ্রমে, তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করার কারণে আমরা এই অবস্থানে আছি। তাই তাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করতে হবে।

‘আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ হলো নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সেতু বন্ধন। এই সেতু বন্ধন যাতে আরও দৃঢ় হয়, বিচারকদের যাতে কোনো অসুবিধা না থাকে, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।’ বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকলে সঠিকভাবে ন্যায়বিচার দিতে পারবে-এ কথা আমি যেমন বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি বিশ্বাস করেন। এমনকি জাতির পিতাও এই বিশ্বাসকে ধারণ করে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে চলার জন্য নেতৃস্থানীয় এবং প্রত্যেকটা পদে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা থাকা উচিত। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন এমন কর্মকর্তা থাকা প্রয়োজন। মো. গোলাম সারওয়ার দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কারণেই আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হয়েছেন।

Share This Article


মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

কোনো প্রার্থীর প্রচারে থাকলে এমপিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

পাটশিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : নানক

বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

র‌্যাবের ১২তম মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

প্রচণ্ড গরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সতর্ক থাকার পরামর্শ

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড যাচ্ছেন আজ

ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী