অন্ধকারের দিকে পাকিস্তান

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০৭, শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২, ১৫ শ্রাবণ ১৪২৯

দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান এমন এক অবস্থার মধ্যে  আছে যা দেশটি গত ৬ মাসের তুলনায় সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে । এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিভিন্ন বৈঠক ও সালিশের মাধ্যমেও কোনো সমধানে আসছে না। এই অস্থিতিশীল অবস্থায় দেশটির রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ঐক্যমতে আসার সম্ভাবনাও তেমন একটা নেই বললেই চলে। 

দেশটির সেনাবিহিনী ও এর নেতৃত্ব নিয়ে গত ৬ বছর ধরে ক্রমাগত সমালোচনা চলছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের কারণে অভ্যন্তরীন বিন্যাসে ভাঙন, বিপর্যয় ও রাষ্ট্রদ্রোহের পরোক্ষ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যা কিনা দেশটিতে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায়, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

এছাড়াও দেশটির সামরিক বাহিনীতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিপুল প্রভাবে নিরপেক্ষ কিছু করাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যেই দেশের শাসনতন্ত্রে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোর হস্তক্ষেপ করতে হয় সেখানে মধ্যস্ততার দরকার প্রবল। কেননা দেশটিতে রাজনৈতিকদের মধ্যে বিবাদ শেষ হবার আশা ক্রমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। 

অন্যদিকে দেশটির আদালতগুলোকে বিতর্কিত করা এখন পরবর্তী চাল। জনগণের অসহযোগিতায় বিচারবিভাগ অপসারণ ও একটি পক্ষের পছন্দ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিবর্তন এখন প্রধান লক্ষ্য। দেশটিতে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার তাদের নিজস্ব দুর্দশা সামলানোর অযোগ্যতা কারণে আদালতগুলোর মধ্যস্ততা করতেই হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো তাদের মনমত না হলে আদালতগুলোকে রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও বিচারিক অভ্যুথানের দায়ে সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরা হয়।  যা পরিষ্কারভাবে একপ্রকার হুমকি স্বরূপ জানায়, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

এরমধ্যে দেশটির অর্থনীতি ব্যবস্থাও হুমকির মুখে। পাঞ্জাবের ১২ কোটি মানুষ গত চার মাস যাবত কোনো কার্যকর সরকারের অধীনে নেই। দেশটির সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে লড়ছে। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র একটি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে ও রাজনীতি নিজেদের মধ্যে বিবাদে সেরা সময়ে আছে। 

দেশটিতে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বাকি নেই যাতে দুর্নীতির ছোঁয়া নেই। ক্রমশই এই সংকট আরও গভীর হচ্ছে এবং আমাদের সব দিক থেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। 

Share This Article