ডেঙ্গু প্রতিরোধে এশিয়ায় সফলতার শীর্ষে বাংলাদেশ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৪০, শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২, ১৪ শ্রাবণ ১৪২৯

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এশিয়ায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সফলতার শীর্ষে রয়েছে। তিনি বলেন, এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভারতসহ অন্যান্য দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কম।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সারাদেশে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৩য় আন্তঃমন্ত্রণালয় ও ঢাকা শহরের চারপাশে পরিকল্পিত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সিঙ্গাপুরে ১৩ হাজার, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৮৮৪, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ হাজার ৩৮৭, থাইল্যান্ডে ৫ হাজার ১৯৬, ফিলিপাইনে ৫১ হাজার ৬২২ এবং ভারতে ১০১৭২ জন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৩০৫ জন রোগী আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

তিনি বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ যখন যা চেয়েছেন তখন তাই দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থাও নিজ নিজ অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে। যার সুফল হিসেবে আমরা আজ একটি ইতিবাচক জায়গায় পৌঁছেছি।

ঢাকায় পরিকল্পিত বাজার স্থাপন সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে শাক-সবজি, মাছসহ অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় এনে যথাযথভাবে নগরবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ঢাকার চারপাশে পাইকারি বাজার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় অপরিকল্পিতভাবে পাইকারি ও খুচরা বাজার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় যানজটসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এজন্য কীভাবে সুবিধাজনক বা নির্দিষ্ট স্থানে পাইকারি ও খুচরা বাজার বসানো যায় সেজন্য ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর রাখা হবে। কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না। তাদের জন্য সুবিধাজনক জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া তাহলে তারা নিজেরাই আকৃষ্ট হয়ে স্থানান্তরিত হবে। উৎপাদকরা বিক্রি করে লাভবান হবে এবং নগরে বসবাসকারীরাও যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


বৃষ্টি নামবে কবে তা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অফিস

সারাদেশে হিট অ্যালার্ট, দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিতের তাগিদ

ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

বিএনপির বিরুদ্ধে করা মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষ দশে নেই ঢাকা

‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ’ সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমীর

স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে: এনামুল হক শামীম

ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার

রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান