সাঈদীর চিকিৎসার বিষয়ে যা জানাল বিএসএমএমইউ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:২৯, বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩, ১ ভাদ্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে তার ছেলে মাসুদ সাঈদী অবগত ছিলেন বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বুধবার বিকেলে বিএসএমএমইউর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসায় বিএসএমএমইউয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকেরা সঠিকভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর মধ্যে সাঈদীকে চিকিৎসা দেয়া বিএসএমএমইউর একজন অধ্যাপককে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ আনা হয়।

এই প্রেক্ষাপটে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সাঈদীর চিকিৎসা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল, যা বুধবার বেলা ৩টায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনিবার্য কারণে এই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে।

পরে বিএসএমএমইউয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরপর ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সাঈদীর হঠাৎ ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। অ্যাডভান্স কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট প্রটোকল অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলতে থাকে। কিন্তু রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাঈদীর রোগের গতিপ্রকৃতি, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে তার ছেলে মাসুদ সাঈদী সম্যকভাবে জ্ঞাত আছেন।

২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে সে সময় জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেন ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। সেই রায়ে সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। এত দিন ওই সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article