রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত না হলে উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়বে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২১, শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২, ১৪ শ্রাবণ ১৪২৯

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা সম্ভব না হলে এই অঞ্চলে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

 তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটি এখন বৈশ্বিক ইস্যু।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (আইইউবি) "রোহিঙ্গা ক্যাম্প ন্যারেটিভ :টেলস ফ্রম দ্য 'লেজার রোডস' ট্রাভেলড" শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।

মোমেন বলেন, সত্তর ও আশির দশকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার যখন ফিরিয়ে নেয়, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের পর দেশটিতে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর বিনিয়োগ ও ব্যবসা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আমাদের সমর্থন জুগিয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। কিন্তু এই পাঁচ দশকে আমাদের এখানে তাদের বিনিয়োগ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে মিয়ানমারে তাদের বিনিয়োগ ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর পরও এটা খুব হাস্যকর শোনা যায় যে, মিয়ানমারের কিছু জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ব্রিটেন।

মিয়ানমারে ইউরোপের বিনিয়োগ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনুমান, জাতিগত নিধনের উদাহরণ তৈরির পর থেকে মিয়ানমারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ অন্তত ১৫ গুণ বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন ডেয়ার ক্লাউভ, আইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করীম, আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী প্রমুখ।

আইইউবির গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ এ হোসেনের সম্পাদনায় বইটির মোট ১৩টি অধ্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকর্মের পাশাপাশি বিশ্নেষকদের নিবন্ধ স্থান পেয়েছে।

Share This Article