দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে, 'হাওয়া'র টিকিট যাচ্ছে না পাওয়া

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৭, বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ১২ শ্রাবণ ১৪২৯

সাদা সাদা কালা কালা- হাশিম মাহমুদের এই গান ইতোমধ্যে 'ভাইরাল' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গানটি   মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’এর।  ফলে মুক্তির আগে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ছবিটি। আগামী ২৯ জুলাই দেশের ২৪ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি।

 যার মধ্যে দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক স্টার সিনেপ্লেক্সের ৫টি শাখায় প্রতিদিন চলবে সিনেমাটির ২৬ শো; যা সাম্প্রতিক সময়ের বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে রেকর্ড বলছে স্টার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘হাওয়া’র দৈনিক শো নয়টি।

শুরু থেকেই ছবিটির পোস্টার ও ট্রেইলারে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে দর্শকদের মাঝে। রহস্য বাড়িয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডলেদের অভিনয় ও প্রথম লুক। গান ও প্রচারণার কৌশলে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। তাই মুক্তির আগেই ছবিটির অগ্রিম টিকিট বিক্রির হিড়িক পড়েছে।

স্টার সিনেপ্লেক্সের বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন সমকালকে জানিয়েছেন, ‘মুক্তির আগেই রেকর্ডের পথে হাওয়া। কারণ মুক্তির প্রথম দিনে এত শো অন্য কোনও বাংলা সিনেমা সাম্প্রতিক সময়ে পায়নি। দর্শকের তুমুল চাহিদার কারণে এতোগুলো শো। আমরা আশা করছি সিনেমাটির শো আরও বাড়বে। এরই মধ্যে টিকেটের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করছি। মুক্তির প্রথম দুইদিনের টিকিট ইতোমধ্যে শেষ। বলতে পারেন টিকিটের জন্য হাহাকার পড়েছে।’

 শ্যামলী কমপ্লেক্স, রুটস সিনেক্লাব (সিরাজগঞ্জ)-এ ইতোমধ্যে ‘হাওয়া’র অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। শুক্র-রবি মুক্তির প্রথম ৩দিন দিনের টিকেট  অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। সিলেটে এই হাওয়া ছবি দিয়ে চালু হচ্ছে নতুন সিনেপ্লেক্স। এখানেও প্রথম তিন দিনের টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রথম তিন দিনের টিকিট বিক্রি শেষ। সিলেটের গ্র্যান্ড সিলেট সিনেপ্লেক্সেরও একই চিত্র।

সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পে নির্মিত ছবি ‘হাওয়া’। ঢাকার বাইরে বগুড়ার সিনে থিয়েটার মধুবন ও মমইন দুটিতেই 'হাওয়া' চলবে। খুলনার শঙ্খ ও লিবার্টিতেও চলবে ছবিটি। 

দেশের টিভি ফিকশন ও বিজ্ঞাপনের খ্যাতিমান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন।  মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট জন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনিকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ছবিটি।  পরিচালকের মতো মিস্ট্রি ড্রামা ঘরানার চলচ্চিত্রটি মূলত এ কালের রূপকথা। রূপকথানির্ভর সিনেমার প্রচলিত এ ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। 

নির্মাতার ভাষ্য, এটি সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্প, যেখানে উপজীব্য সমুদ্র। গভীর সমুদ্র ও সেখানে মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে নির্মিত গল্পের চলচ্চিত্র। ৮ জন মাঝিমাল্লার ও একজন বেদেনিকে নিয়েই গল্পটি তৈরি।

সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।  মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনি এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন।

তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সংগীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।

Share This Article