আর্থিক সচ্ছলতায় রেফারিদের মুখে হাসি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২৮, রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২, ৯ শ্রাবণ ১৪২৯

ফুটবল লিগ শেষের পথে। এরই মধ্যে রেফারিদের পারিশ্রমিকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আর তাতে রেফারিরা খুশি। পারিশ্রমিক না পেলে রেফারিরা খেলা চালিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না।

 তাদের দাবি ছিল পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে এবং নিয়মিত প্রদান করতে হবে। বকেয়া রাখা যাবে না। সাবেক ফিফা রেফারি আজাদ রহমান জানালেন সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আশা করি আর কোনো সমস্যা থাকবে না। সমাধান হয়েছে।’ চলতি লিগের প্রথম ম্যাচ থেকে পারিশ্রমিকের নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন হবে।

নতুন কাঠামো অনুসারে এখন থেকে ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারি পাবেন ১১ হাজার ৪০০ টাকা। সহকারী রেফারি পাবেন ১১ হাজার ২০০ টাকা। চতুর্থ রেফারি পাবেন ১০ হাজার ৯০০ টাকা। আর ম্যাচ কমিশনার পাবেন ১০ হাজার টাকা। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের রেফারি প্যানেলে আছেন ৩৯ জন। এর মধ্যে ফিফা ব্যাজধারী রেফারি ১২ জন। আছেন ন্যাশনাল রেফারি, ক্লাস ওয়ান রেফারি এবং ক্লাস টু রেফারি। আজাদ রহমান বেশ খুশি রেফারিদের পারিশ্রমিকের বিষয়টি সুরাহা হওয়ায়। তিনি মনে করেন, এখন আরও উদ্যমে রেফারিরা খেলা চালাবেন। মুখে বাঁশি নিয়ে মাঠে নামলে রেফারিরা প্রধান বিচারকের আসনে থাকেন। তার সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অথচ ম্যাচ শেষে সেই রেফারিকে বাড়ি ফেরার দুশ্চিন্তা করতে হয়। নিয়মিত পারিশ্রমিক হাতে পেলে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

আজাদ রহমান ২০০১ সালে রেফারিং কোর্স করে দেশের ফুটবলের বড় আসরে নাম লেখান। দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনা করে সুনাম কুড়িয়েছেন। আজাদ বললেন, ‘আমাদের সময় খুব সম্ভবত দুই বা আড়াই হাজার টাকা পারিশ্রমিক ছিল। তখন আমরা টাকা হাতে নিয়ে দেখতাম না কি দিয়েছে, কত দিয়েছে। মনে হতো দেশের ফুটবলের প্রথম শ্রেণির খেলা চালাচ্ছি। এতো দর্শক, নামকরা সব ফুটবলার। তাদের মাঝখানে আমি বাঁশি হাতে। ফুঁ দিলেই খেলা বন্ধ। সিদ্ধান্ত মন মতো না হলেই গ্যালারির সমর্থকদের প্রতিবাদ এবং অন্য অংশে উল্লাস হতো। আমার এসব ভালো লাগত। এখন যদি কেউ রেফারি হতে চায় তাহলে তাদের জন্য পথ খোলা রয়েছে। এখন ডেভেলপম্যান্ট হচ্ছে প্রচুর। প্রশিক্ষণের দুয়ার খুলে গেছে। আগে এতোটা সুযোগ ছিল না।’

ভারতের ভুবনেশ্বরে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের দুই পুরুষ রেফারি নাসির উদ্দিন এবং জুনায়েত শরিফ খেলা পরিচালনা করবেন। নাসির ন্যাশনাল রেফারি এবং জুনায়েত ফিফা রেফারি। এই দুই জন সাফের খেলায় দায়িত্ব পালন করে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা করে পাবেন।

নতুন পথে পা রাখতে যাচ্ছেন দুই নারী রেফারি

নারী রেফারি জয়া চাকমা এবং সালমা খাতুন মনি এবারই প্রথম সাফের খেলা পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। আগামী ৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে নেপালে। সেখানে ফিফা রেফারি জয়া চাকমা এবং ফিফা সহকারী রেফারি মনি যাবেন বাঁশি বাজাতে। আজাদ রহমান জানালেন গতবছর ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ সাফে জয়া এবং মনি ম্যাচ চালিয়েছিলেন। এবার প্রথম তারা সাফের বড় আসরে যাচ্ছেন।’ সাফে খেলা পরিচালনা করতে গিয়ে জনপ্রতি ১ হাজার ৭০০ ডলার করে দুই জন ৩ হাজার ৪০০ ডলার পাবেন।’ আজাদ জানালেন নারী রেফারির সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।’

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article