আতঙ্ক নয়, সবই সম্ভাব্য সংকট মোকাবেলার প্রস্তুতি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামগ্রিকভাবে সারাবিশ্বেই সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ প্রতিটি জিনিসের দাম অসম্ভব বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের বহু দেশে জ্বালানী সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশকে যেন এমন সংকটে পড়তে না হয় এজন্য আগে থেকেই ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে সরকার। এতে এই সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
সরকারী সকল দফতরে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয় এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট ৮টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সম্পর্কে সচিবদের নির্দেশনার পর ২০ জুলাই সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী সংকটের কারণে সরকারকে এখন বিপুল অঙ্কের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। প্রায় তিনগুণ দামে জ্বালানি তেল কিনে এনে সামান্য দামে বিক্রি করতে গিয়ে রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে।
এসব কারণে সরকার বাধ্য হয়েই রেশনিং সিস্টেমে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জ্বালানি তেলে চলা অনেক বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মন্দা যাচ্ছে, খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে, বিভিন্ন দেশে বিদ্যুত ও জ্বালানির সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগেভাগেই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে এ জাতীয় সমস্যায় আমাদের পড়তে না হয়।