মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বর্জনের আহবান সোশ্যাল মিডিয়ায়
![মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বর্জনের আহবান সোশ্যাল মিডিয়ায়](/Uploads/Images/News/2023/4/Image-11726-20230409075505.webp)
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে নিয়ে কটাক্ষ করায় দৈনিক প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে স্বাধীনতা-সচেতন নাগিরক সমাজ। এতে বিনোদন জগতের অনেকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনেত্রী তারিন জাহান ও তানভিন সুইটিসহ বেশ কয়েকজন। ওই মানববন্ধনের পর থেকেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বেশ কিছুদিন যাবত স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে প্রতিবেদন প্রকাশকারী ও ষড়যন্ত্রকারী দৈনিকটির নিবন্ধন বাতিল এবং পত্রিকাটি বন্ধের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও বর্জনের আহবান জানানো হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যেহেতু এসব শিল্পীরা ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার’ বিজয়ী হয়েছিলেন এবং তারা এখন এই পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন, তবে কি তারা এই পুরষ্কার বর্জন করবেন?
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি মনে করি রিয়াজ-তারিন আপার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বর্জন করা উচিত, কারণ প্রথম আলোকে স্বাধীনতা বিরোধী পত্রিকা বলে সে পুরস্কার ঘরে সাজিয়ে রাখার যৌক্তিকতা নেই। এটা স্ববিরোধীতা। আমি আশা করছি, উনারা পুরস্কারগুলো ছুড়ে ফেলবেন।’
আদিত্য আরাফাতের এমন স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায়, ‘সেলিম ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘যখন পুরস্কার জিতেছে, তখন প্রথম আলোর ভূমিকা তাদের কাছে স্পষ্ট ছিলোনা। কিন্তু এখন যেহেতু তাদের কাছে পত্রিকাটির আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে, এখন তাদের উচিত পুরস্কারটি ফিরিয়ে দেয়া।'
অরণ্য আনোয়ার লিখেছেন, সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারের যে শিল্পীরা প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল চেয়েছেন তারা একসময় পত্রিকাটির পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এতে দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু এখন যেহেতু নিজেদের বোধোদয় হয়েছে, অবশ্যই আপনাদের উচিত পুরস্কার বর্জনের ঘোষণা দেয়া। তবেই হয়তো পত্রিকাটির প্রতি আপনাদের ঘৃণা প্রকাশ যথাযথ হবে।
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক শিক্ষণার্থীই প্রথম আলোর দেশবিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের জন্য জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে যেমন মন্তব্য করেছেন, সেই সাথে যে শিল্পীরা প্রত্রিকাটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতিও পুরস্কার বর্জনের আহবান জানিয়েছেন। এতে দেশপ্রেম ও মাতৃভূমিকে ভালোবাসা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন তারা।