কেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ভন্ডদের আখড়া বললেন জয়
যুক্তরাষ্ট্র পুরো দুনিয়া জুড়ে ভন্ডামি করছে, ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করেছে তখন মানবাধিকারের প্রশ্ন আসেনি, আফগানিস্তানের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা।হচ্ছে বিনা বিচারে, তখন মানবাধিকার নিয়ে তখন কোন প্রশ্ন ওঠেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদ করায় এক শেতাঙ্গকে বাদ দিয়ে সংখ্যালঘু দুই কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কারের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। কৃষ্ণাঙ্গ দুই আইনপ্রণেতার সদস্যপদ কেড়ে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ এপ্রিল ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরকে ‘ভণ্ডদের আখড়া’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।
জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ সকালে টেনেসির রাজধানী ন্যাশভিলের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ৬ জন নিহত হন। সেই ঘটনার পরপরই রাজ্যের বন্দুক আইন সংশোধন চেয়ে আন্দোলন দানা বেধে ওঠে। তার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল রাজ্যের পার্লামেন্টের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে।
সে সময় পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে স্টেট পার্লামেন্টের তিন আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস, জাস্টিন পিয়ারসন এবং গ্লোরিয়া জনসন অধিবেশন ত্যাগ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তাদের এই আচরণকে পার্লামেন্টের বিধিভঙ্গ উল্লেখ করে তাদের সদস্যপদ বাতিলের জন্য ভোট আহ্বান করা হয়।
ভোটে দুই কৃষ্ণাঙ্গ আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস ও জাস্টিন পিয়ারসন তাদের সদস্যপদ হারান। সদস্যপদ হারানো থেকে বেঁচে যান গ্লোরিয়া জনসন।
সজীব ওয়াজেদ বিষয়টির প্রসঙ্গে বিবিসি নিউজের একটি সংবাদ শেয়ার দিয়ে তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্যরা (একই অভিযোগে) ভোট দিয়ে দুই সংখ্যালঘু আইনপ্রণেতাকে বহিস্কার করেছে আর একজন শ্বেতাঙ্গকে রেখে দিয়েছে। এই হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অবস্থা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভণ্ডদের আখড়া ছাড়া আর কিছুই নয়।’
এ বিষয়ে সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র পুরো দুনিয়া জুড়ে ভন্ডামি করছে, ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করেছে তখন মানবাধিকারের প্রশ্ন আসেনি, আফগানিস্তানের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা।হচ্ছে বিনা বিচারে, তখন মানবাধিকার নিয়ে তখন কোন প্রশ্ন ওঠেনি।অথচ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে। অধিকারের ভন্ডামি দিয়ে তারা পুরা দুনিয়াকে শোষণ ও শাসন করছে। পৃথিবীর মানুষ যত তাড়াতাড়ি তাদের ভন্ডামিটা বুঝতে পারবে তত তাড়াতাড়ি পৃথিবীতে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।