গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায়, দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ১১:১৬, শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩, ২৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্লেষ্যকরা বলছেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে বলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অবকাঠামো ও অর্থনৈতিকভাবে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।আর এসব কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও বজায় রয়েছে বলে মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পরে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকার কারণেই দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে বলে ৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদে দেয়া এক ভাষনে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশে যে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় আছে তা প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথা নয়। মার্কিন গণমাধ্যম তথা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্লমবার্গও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে।

২০২১সাল শেষে বাংলাদেশের জিডিপি ৫.২শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক, অপরদিকে এডিবি ঘোষণা করেছিল ৫.৩ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৬.৯ শতাংশ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.১ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় দেশের জিডিপি ।

একই সময়ের মধ্যে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিও ছিল স্বস্তিধায়ক। গত জুলাই-মার্চ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ৮.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয় আর রেমিটেন্সে বছরে ৪.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যার পরিমাণ ১৬.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে রপ্তানি খাতে যুক্তরাজ্যের বাজারে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। কারণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরেও পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত বাজার উপভোগ করতে থাকবে বাংলাদেশ।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর- বিবিএস’র জরিপে দেখা গেছে বেকারত্বের হার ৪.৩ শতাংশ থেকে কমে এখন ৩.৬ শতাংশে নেমেছে।

বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থা জাতিসংঘও। সংস্থাটির বাংলাদেশে আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এছাড়া উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছের মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস।মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও নজিরবিহীন বিল উত্থাপিত হয়।

বিশ্লেষ্যকরা বলছেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে বলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অবকাঠামো ও অর্থনৈতিকভাবে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।আর এসব কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও বজায় রয়েছে বলে মনে করেন তারা।

Share This Article